পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS) কৃষি তত্ত্ব । এক শ্রেণী রোপণ করিলে বেড়ার কাৰ্য্য করে। যে স্থানে ইহা রোপণ করিবে, সেই স্থান পরিষ্কার করিয়া দেড় কি দুই ফুটি অন্তর অন্তর ক্ষুদ্র এক একটা গৰ্ত্ত করিয়া এক একটি চারা বসাইয়া দিবে। ইহার জন্য কিছুই করিতে হয় না, কেবল অধিক জঙ্গল হইলে মধ্যে মধ্যে পরিষ্কার করা উচিত। বৈশাখ হইতে ভাদ্রমাস পৰ্য্যন্ত অনেক সুপক্ক ফল প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। অন্য সময়েও জন্মে। কিন্তু তাহা সুস্বাদু নয়। প্ৰতিবর্ষে এক একটী গাছে এক একটা ফল হয়। বৎসরে দৈবাৎ দুই বার হয়। খাইতে মধুৱায়। এক বার রোপণ করিয়া যত্নপূর্বক রক্ষা করিলে চিরকাল থাকে এবং ক্ৰমে গোড়ায় চারা জন্মিয়া বৃদ্ধি হয়। অত্যন্ত বেশী হইলে পুরাতন গাছ তুলিয়া দিয়া নূতন গাছ রক্ষা করিতে হয় । ജ= 6 ( আম, আম, অ্যাব । এ বৃক্ষ প্রায় সকল প্ৰকার মৃত্তিকাতেই জন্মে। চিঙ্কণ মৃত্তিকার ভাগ অধিক এইরূপ দোয়াস মৃত্তিক প্ৰশস্ত। খিয়ার মৃত্তিকাতেও ইহা জন্মে। সসার সরস উক্ত প্ৰকার খিয়ার এবং দোয়াস মৃত্তিকাতে গাছ তেজস্বী ও ফল অধিক উৎপন্ন হয়। অধিক রসাযুক্ত মৃত্তিকাতে গাছ তেজস্বী হয়, ফলে জলীয় ভাগ অধিক হইয়া মিষ্টতা অল্প হয় এবং কীট জন্মে । বালির ভাগ যে স্থানের মৃত্তিকাতে অধিক, সেস্থানের গাছ তেজস্বী এবং বড় হয় না, ফলও অল্প ও ক্ষুদ্রাকার হয়। ফলতঃ যথা পরিমিত রাসযুক্ত আটালু খিয়ার, মৃত্তিক ইহার নিমিত্ত উত্তম। যে স্থানে বর্ষাকালে অধিক দিন জল বদ্ধ থাকে, এমন স্থানে ইহা রোপণ করা উচিত নয়। পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে ও শীতপ্রধান স্থানে এ বৃক্ষ হয় না । মালদহ ও বোম্বাই প্রভৃতি স্থানের আম্র অতি প্ৰসিদ্ধ। বঙ্গদেশের প্রায় সৰ্ব্বত্রই ইহার গাছ আছে। মুর্শিদাবাদ হইতে কলিকাতা পৰ্য্যন্ত স্থানে স্থানে আমের বড় বড় অনেক উদ্যান আছে, অন্যত্র উদ্যান নাই, কিন্তু বৃক্ষের সংখ্যা কোন স্থানেই অল্প নয়। স্থানীয় আমের দ্বারা প্ৰায় সর্বত্রই প্ৰয়োজন সাধন হয় । বঙ্গদেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভাগের আম্র উত্তম । পূর্ব ও উত্তর ভাগের আম্র অধম। সুমিষ্ট ও বৃহদাকার আমের অ্যাঠি রোপণ অথবা কলম করিয়া চারা জন্মান উচিত। অাঠির চারা বৃহদাকার হয়, কলমের চাবা সেরূপ হয় না । །