বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठूषिङख् । S8S চিকণ ও এক ভাগ বালি এইরূপ দোয়াস মুত্তিকাই প্ৰশস্ত। খিয়ার ও কঠিন মৃত্তিকা জল দ্বারা সিক্ত রাখিলে তাহাতে ভাল হয়। এদেশীয় সমান্য বদরী কেবল আমি এবং অপকারী। বারাণসী প্ৰভৃতি স্থানের বদরী অতি উৎকৃষ্ট । কলিকাতা ও তন্নিকটবৰ্ত্তি স্থান সমূহের নারীকেলি কুলও উৎকৃষ্ট । চার জন্মাইবার ইচ্ছা হইলে সকল স্থানের বদরীর টাটকা বীজ অথবা কলমের চারা সংগ্ৰহ করিয়া রোপণ করা কীৰ্ত্তব্য । বীজের চারা অপেক্ষ কলমের চারাতেই ফল ভাল হয়। রোপণের তিন চারি মাস পূৰ্ব্বে সার দ্বারা মাত্তিক প্ৰস্তুত করিতে হয়। আমাদি বৃক্ষের ন্যায় বিশেষ যত্ন করা উচিত। প্রতিবৎসর গোড়ার মাত্তিকা কিঞ্চিৎ খনন করিয়া সার দিতে হয়। মাত্তিকা নীরস হইলে কাৰ্ত্তিক মাস হইতে ফাস্তুন মাস পৰ্য্যন্ত সময়ে সময়ে জল দিতে হয়। মূলদেশ সর্বদা পরিণ স্কার বাখিবে। বিশেষ যত্ন করিলে ফল বড় এবং অধিক হয়। নতুবা ক্রমে হীনাবস্থ হইয়া সামান্য বদরীর ন্যায় হইয়া যায়। মাঘ ও ফাস্তুন মাস ফল পাক হইবার সময়। দেশীয় সামান্য বদরী সুপক হইলে ব্যবহার করে। উত্তম বদরী সুপক অপেক্ষা পূর্ণাবস্থাতেই সুখাদ্য। ইহা অনেকজাতীয়। যথা—বীজ বন্দর, ভুবন্দর লম্ব, বদর ইত্যাদি। এদে শের বন্দরী সাধারণের গুণ-অম্লত্ব, কষায়ত্ব, অম্লমধুরত্ব, স্নিগ্ধত্ব, গুরুত্ব, তিক্তত্ব, বাতপিত্তনাশিত্ব । মিষ্ট বন্দরীর গুণ-মধুবাম্নত্ব, উষ্ণত্ব, কফকারিত্ব, বাতপিত্তনাশিত্ব, অতিসার, রক্তদোষ শ্রমিদোষ নাশিত্ব, শুক্রবৃদ্ধিকারিত্ব । জলপাই । ইহা দোয়াস এবং পলিমৃত্তিকাতেই ভাল হয়। যত্নপূর্বক সারা দিয়া চার জন্মাইলে ফল বড় হয়। নতুবা ছোট হয়। বীজের এবং কলমের চারা করিতে হয়। ইহার আচার উত্তম হয়। নারিকেল, নারীকেল । পলি এবং দোয়াস মৃত্তিকাতে ইহা উত্তম জন্মে। যে মৃত্তিকার উপরে