পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । Sርዓ গুরুত্ব, তৰ্পণত্ব, রক্তপিত্তনাশিত্ব, পুষ্টি শুক্র প্রদত্ব, বলকারত্ব, জার, ক্ষুৎ তৃষ্ণ কাশীশ্বাস নিবারকত্ব। এক বিঘা। ভূমিতে অনূ্যন চারিশত গাছ জন্মান যায়। ইহার অধিক রোপণ করিলে ঘন হয়, তাহাতে রস অল্প নিৰ্গত হইবার সম্ভাবনা । বরিশাল ফরিদপুর প্রভৃতি জেলাতে উত্তম সতেজ এক একটী গাছ হইতে প্ৰতিদিন আদি মণ রস নিৰ্গত হয়। দশ সেরের কম রস নিৰ্গত হওয়ার গাছ ঐ সকল স্থানে অল্প। অন্যত্র প্রতিদিন গড়ে প্ৰতি গাছ হইতে আড়াই সেরা রস নিৰ্গত হয়। কাৰ্ত্তিক মাসের শেষ হইতে ফান্তুন মাস পৰ্য্যন্ত রস গ্রহণের সময় অর্থাৎ শীত সময় ব্যতীত রস গ্ৰহণ করা যায় না । অতিশয় শীত হইলে এবং হিম অধিক পড়িলে তখন রস অধিক হইলেও তাহ অতিশয় পাতলা হয়। এ জন্য গুড় অল্প হইয়া থাকে । অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসের রসের গুড়ে চিনি প্ৰস্তুত হয়। তৎপরে যে রস নিৰ্গত হয়, তাহাতে কেবল গুড়ই হয় । পুরাতন গাছের এক মণি রসে অনুস্থান পাঁচ সের, নূতন গাছের এক মণি রসে আড়াই সেরা গুড় হয়। গড়ে এক মণি রসে চারি সেরা গুড় হইয়া থাকে। রস গ্ৰহণ করিবার প্রণালী এই, কাৰ্ত্তিক মাসের প্রথমে গলার কতকগুলি । , জটা কাটিয়া ফেলিতে হয়। গাছের সেই কাটা স্থান শুষ্ক হইলে (দশ বার দিন পরে ) এক দিবস সেই সকল স্থান চাচিয়া ফেলিবে, পুনৰ্ব্বার আর এক দিবস ( দুই এক দিন পরে ) চাচিবে এবং এক স্থানে যথা পরিমাণ একটী খাজ কাটিয়া সেই স্থানে জিহবার মত এক খান বঁাশের নল বসাইয়া তাহার নিম্নভাগে গাছের সহিত একটি হাড়ি বান্ধিবো। ঐ নলের অগ্রভাগ হাড়ির মুখে এরূপ থাকিবে, যেন অনায়াসে রস হাড়িতে পড়ে। দিবাতে রস অল্প নিৰ্গত হয় এবং দিবসের রসে গুড়াও অত্যন্ন হয় । এজন্য অপরাহে উক্তরূপে হাড়ি বসাইয়া রাখিবে । সমস্ত রাত্রি রস নিৰ্গত হইবে, পর দিবস প্ৰাতঃকালে হাড়ি নামাইয়া রস লইয়া পুনৰ্ব্বার অপরায়ে ঐ স্থানে হাড়ি বান্ধিয়া রাখিবো। এই রূপে এক স্থানে তিন দিন হাড়ি বান্ধিয়া রস গ্ৰহণ করিবে। প্রথম দিন অপেক্ষা পর পর দিন রস অল্প নিৰ্গত হয়। প্ৰথম