পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্কৃষিকাৰ্য্যই দেশের উন্নতির ও জীবনরক্ষার মূল, বঙ্গদেশের দাসত্বপ্রিয় উচ্চ । { cশণির লোক সকলের এই কার্ঘ্যে প্রবৃত্তি এবং রুচি নাই, বরং ঘৃণিত কাৰ্য্য * বিবেচনা করিয়া তাহা হইতে বিরত থাকাতে ঐ কাৰ্য্য কেবল নীচ শ্রেণির কের হস্তে পড়িয়া ক্ৰমে হীনাবস্থা প্ৰাপ্ত হইয়াছে। পূৰ্ব্বকালে এই কাৰ্য্য ܗ̄ܘܵܬ݂ܳܐ *ৰু উচ্চ শ্রেণির লোকের (বৈশ্যের ) ব্যবসায় ছিল এবং ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয়গণও * স্বীকৃ স্বীয় নির্দিষ্ট কাৰ্য দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাহ করিতে অসমর্থ হইলে এই কাৰ্য্য করিতেন, তাহাতে নিন্দ বা দোষ হইত না। প্ৰাণান্তেও দাসত্ব স্বীকার করিতেন না । বোধ হয়। হিন্দুরাজত্বের অবসান সময় হইতে উচ্চ শ্রেণির লোক সকল ক্ৰমে ঐ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়াছেন। এক্ষণে কেবল এক জাসত্বই জীবনধারণের প্রধান অবলম্বন হইয়াছে। * এ দেশের ভূম্যধিকারিগণের (জমীদারগণের) মান,সন্ত্রম, জীবন একমাত্র # ষ হইতে রক্ষা হয়, কিন্তু তঁাহারাও কেবল প্ৰজার কর বৃদ্ধি করিবার 蹄 মত্ত সৰ্ব্বদা চেষ্টা ও যত্ন করিয়া থাকেন ; কৃষিকাৰ্য্যের বাহুল্য ও উন্নতি ং ভূমির উৎপাদিকাশক্তি বৃদ্ধি না হইলে যে কর বৃদ্ধি হইতে পারে না, স্থা দিনান্তেও একবার চিন্তা করেন না। ফলতঃ তঁহাদেরই এই কাৰ্য্যে নিবেশ করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য । আমাদিগের দয়াবান অধ্যবসায়ী গবৰ্ণমেণ্ট বহুবিধ বিষয়ে শিক্ষার বহুবিধ 'গুপায় করিয়া দেশের যে কত উন্নতি সাধন করিয়াছেন, তাহা বলা বাহুল্য, },"ন্ত এ পৰ্য্যন্ত র্তাহাদেরও এ বিষয়ে সৰ্ব্বতোভাবে মনোযোগ দৃষ্ট ইতেছে না, বরং তঁাহারা প্ৰতিগ্রামে পাঠশালা ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাতে ঈশ্বৰকাৰ্য্যের বিশেষ অবনতির কারণ ঘটিয়াছে। এ দেশে কৃষকের সংখ্যা অধিক, গ্ৰাম্য পাঠশালায় অধিকাংশ কৃষক *শ্রেণীর বালক প্রবিষ্ট হয়, কিন্তু তাহারা উপযুক্ত শিক্ষা প্রাপ্ত হইবার * পূৰ্ব্বই পাঠশালা ত্যাগ করে। এদেশের লোকের একটী সংস্কার আছে যে