পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব। 8 ) ভাদ্র মাসের প্রথমে চারা রোপণ করিতে হয়, আশ্বিন মাস মধ্যে ফলিত হইয়া ধান্য পাক হয় । এক বিঘাতে আট মণ ধান্যের অধিক উৎপন্ন হয় না। যত্নপূৰ্ব্বক রাখিলে অধিক দিন রাখা যাইতে পারে। তপ ও উশনা, দুই প্রকার তণ্ডুলই ইহাতে হয়। চিড়া প্ৰস্তুত করিলেও করা যায় । হিন্দুদিগের এ ধান্যের তণ্ডুল পবিত্র এবং দৈব ও পৈত্র কৰ্ম্মে ব্যবহাৰ্য্য। ইহা শ্বেত ও নীল দুই প্রকার। প্ৰথম প্রকারের গুণ-রুচিকর ত্ব, স্নিগ্ধত্ব, দোষহরত্ব, বলকারত্ব, অগ্নিবৃদ্ধিকরত্ব, বীৰ্য্যবৃদ্ধিকবত্ব। দ্বিতীয় প্রকারের ঐ সকল গুণ কিঞ্চিৎ অল্প এই মাত্র বিশেষ । usual রোপিত আশু । বোরে। অথবা বোবা ধান্য । যে ভূমিতে মাঘ, ফাঙ্কন, চৈত্র, মাসে কিঞ্চিৎ নৃত্যুন, বা অধিক এক হস্ত পরিমাণ জল থাকে, সেই ভূমিতে ইহা রোপণ করা যাইতে পারে, অথবা মৃত্তিক ভিজা থাকিলে তাহ কর্ষণ পূর্বক কৰ্দমিত করিয়া রোপণ করা যায়, কিন্তু তাহাতে জল সেচন করিতে হল । এ ধান্যে জল সেচন করিবার রীতিও আছে। বিল ও ঝিলের নিকটস্থ তীর ভূমিতে এবং নদ নদীর পলিযুক্ত চর ভূমিতেই প্রায় রোপণ করিয়া থাকে। শ্ৰীহট্ট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজসাহী, ফরিদপুর, যশোহাব, বাদা, এই সকল স্থানে ইভার অধিক আবাদ হয় । নদীর পলিযুক্ত চরের যে স্থানে কাত্তিক মাসে কর্দম থাকে, তথায় ঘন করিয়া বীজ বপন করিতে হয়, অথবা অন্য একখণ্ড ভূমি কর্ষণ পূৰ্ব্বক জল দিয়া কাদা করিয়া বীজ বপন করিবে, কিন্তু চাৱা উঠানের সময় পৰ্য্যন্ত জল দিতে হইবে । ইহাকে ধান্যের “ জলাকরা ” বলে। এই প্রকারে উৎপন্ন চারা এক হাত পরিমাণ উচ্চ হইলে তুলিয়া স্থানান্তরে রোপণ করিতে হয়। হস্ত দ্বারা টানিয়া চারা তুলিয়া আট বান্ধিয়া জলে রাখিলে দুই এক দিন পরেও রোপণ করা যায়, নতুবা সেই দিনেই রোপণ করা কীৰ্ত্তব্য।