পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ও ২ কুষিদর্পণ i হুইয়া থাকে। কিন্তু এক্ষণে এদেশে বটেমিক উদ্যান সংস্থ পিত হওয়াতে অন্য দেশ হইতে অনেক বহুমুল্য প্রকাণ্ড বৃক্ষ আনয়ন করিয়া তাঁহাতে রোপ করা হইয়াছে । অতএব যদি ভাহাদিগের বীজ লইয়। রোপণ করিবার প্রথা প্রচলিত হয়, তাহ হইলে বহুযুল কাষ্ঠ সকল যথেষ্ট উৎপন্ন ও অলপফুল্যে বিক্রীত হইতে পারে। আমরা পুৰ্ব্বে প্রকাশ করিয়াছি, যে প্রকাণ্ড বৃক্ষ রোপণ করিবার প্রথা এই দেশে প্রচলিত নাই । ইহার স্বভাবতই পতিত ভূমিতে প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হইয় থাকে, মনুষ্যের ব্যবহার জন্য ক্রমশঃ সেই সকল বৃক্ষ কটিয়া আনীতে এক্ষণে সুন্দরবনে সুন্দরী ও অন্যান্য বনে অন্য অন্য কাষ্ঠ দুৰ্ল্লভ হইয় উঠিয়াছে। পুৰ্ব্বে যাহাঁকে চকর কহিত সংপ্রতি তাহা দুঙ্গাপ্য হইয়াছে। কলিকাতায়, যাহা আমদানি হয় সে সকলই প্রায় দোকর অতএব স্বদেশীয়,ও বিদেশীয় প্রকাণ্ডবৃক্ষের উন্নতি জন্য যদি বঙ্গদেশবাসীরা আপনাদিগের দেশে তাহাদিগের রোপণ করিবার প্রথা প্রচলিত না করেন তবে কাষ্ঠীভাবে তাহাদিগকে বিলক্ষণ কষ্ট পাইতে হইবে তাহতে অণু মাত্র সন্দেহ নাই । এক্ষণকার কাষ্ঠের দর শুনিলেই তাহার প্রমাণ স্পষ্ট প্রতীয়মান ছহঁতে পরিবে। এই প্রকাণ্ড বৃক্ষ সমস্তু