পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিদর্পণ। ১১৫ পৰ্ব্বতের উপরিভাগে বৃক্ষ সকল রোপিত থাকিলে মেৰূপ শোভীজনক হয়, নিম্ন স্থলে রোপিত হইলে কখনই তদ্রুপ শোভস্পিদ হইতে পারে না । ফলতঃ হিমাতিশয্যে পৰ্ব্বতের উপরিভাগে বৃক্ষাদি উৎপন্ন হয় না, উপত্যক মধ্যেই যে কিছু বৃহৎ বৃক্ষ দৃষ্ট হইয়া থাকে। অতএব সৌন্দর্য্য বিধানর্থ বন্ধুর ভূমির উচ্চ স্থানে বৃক্ষ রোপণ করাই প্রকৃতির নিয়ম। শোভান্বিত বৃক্ষের বিষয় । যে সকল বৃক্ষের স্কন্ধ হইতে উপরি ভাগ পর্য্যস্ত শাখা পত্রাদি মণ্ডলাকারে বা দীর্ঘাকারে বেষ্ট্ৰিত থাকে, তাহাদিগকে শোভাধারী বৃক্ষ বলা যায় । তন্মধ্যে আয়, তেতুল, অশ্বথ, বট, বকুল ইত্যাদি মণ্ডলাকার, ও ঝাউ, দেবুদারু প্রভূতি বৃক্ষ সকল দীর্ঘাকার পলিয়া প্রসিদ্ধ । আর যে সকল বৃক্ষ এই উভয় শ্রেণীর অস্তুকীৰ্ত্তী নহে তাহারা মুশোভন বলিয়। পরিগণিত হইতে পারে না। প্রকাণ্ড বৃক্ষের মধ্যে বাদাম বৃক্ষই সমধিক শোভাসম্পন্ন, তাহার শাখ সকল ধরা তল রেখার অর্ণকীর ধারণ করিয়া কাণ্ড হইতে পহি গত হয় ও স্তবকে স্তবকে স্থশোভিত থাকে । এই দুই প্রকার বু,ক্ষর মধ্যে যদি দীর্ঘাকার বৃক্ষ সকলকে