পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so e কৃষিদর্পণ । গামলার চতুঙ্গার্থে পরিবেষ্টিত হয়। যদি ঐ পত্রি হইতে জল নির্গমনের কোন প্রতিবন্ধক না থাকে, তাহা হইলে ঐ চারা যেমন সতেজ হইয় উঠে, যুলবৃক্ষে তদ্রুপ হয় না। এই ৰূপে কমল লেবুর কলম সহজেই গামলায় বৰ্দ্ধিত হইয়া কলবান হয়। . কিন্তু কৃষক এমত সাবধান হইয়া গামলার ছিদ্রে খোলা কুচি চাপা দিবেক, যেন কোন প্রকারেই ছিদ্রপথ রুদ্ধ না হয়, অথচ অধিক জল বহির্গত হইতে না পারে এমত কোন - কৌশল করিবেক, অর্থাৎ কএকটী ইষ্টকখণ্ড টবের মধ্যে প্রোথিত করিয়া রাখিলে ইহার বহুকালাবধি রস সঞ্চয় করিয়া রাখে তাহাতে টবস্থ মৃত্তিক সরস থাকিতে পারে। জল রুদ্ধ বা অধিক জল বহির্গত হওয়া, এই উভয়ের মধ্যে যে কোনটীর অন্যথা হইলেই চারীর পক্ষে অনিষ্ট ঘটিবেক। কোন বৃহৎ বৃক্ষের চারা বহু দিবসাধধি গামলায় রাখিলে, উহার শিকড় সকল পরস্পর জড়ীভূত হইয়া ভূত্র বা রজ্জর তালের ন্যায় হয়। এতদ্রুপ অবস্থান্বিত চার যদ্যপি গামলা হইতে বাহির করিয়া মৃত্তিকায় রোপণ করা যায়, তাহা হইলে উক্ত প্রকার জড়ীভূত শিকড় হইতে মুতন শিকড় বহির্গত হয় না। আর বহু দিবসেও চারা বৰ্দ্ধিত হয় না হয়ত মরিয়া যায় ।