পাতা:কৃষিদর্পণ - দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○ কৃষিদর্পণ । দৃশ আকার ধারণ করে । কিন্তু সকল চরাতে যে এই ৰূপ হইৰেক এমত স্বীকার করিতে পারা যায় না । সম্প্রতি হটকলগয়ল সোসাইটির উদ্যানে এক জারজগত চরি৷ উৎপাদিত হইয়াছে, তাহার মাতার নাম বেগোণিয়া প্লাটিনি ফেলিয়া এবং তাহার পিতার নাম বেগোণিয়া মালা বেটিরিক উক্ত জারজ চরিতে কেবল মাতৃগুণ প্রকাশ পাইয়াছে অর্থাৎ মাতৃপত্রে মেৰূপ শ্বেতবর্ণের গোলাকার চিকু থাকে উহার পত্রেও অপেক্ষাকৃত কিঞ্চিৎ বৃহত্তর সেই ৰূপ চিকু হইয়াছে । ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় চারদিগের কোন কোন অংশে সোসাদৃশ্য থাকিলেও তাহা হইতে জারজ চার উৎপন্ন হইতে পারে না, অনেকে এ বিষয়ে সচেন্ত্রিত হইয়াও কৃতকার্য হইতে পারেন নাই । অনেক ইংরাজী গ্রন্থে এরূপ দৃষ্ট হইয় থাকে যে, বিভিন্ন জাতীয় চারার পুংকেশরের রঙ্গ স্ত্রীকেশরে সংযোগ করাইলেই জারঞ্জ চার উৎপন্ন হয় । কিন্তু পরীক্ষা করিয়া দেখিলে এ বিষয়ের সকলি অলীক বলিয়া বোধ হয়। কেননা মটর, সীমের সহিত এবং কপি, মুলার সহিত সক্ষত छ्रेंप्लां : কখনই জারজ চারা উৎপাদন করিতে পারে না । যে যে জাতীয় চারা হইতে জারজ চার উৎপাদন করিতে পার; যায়, তাহাদিগের সংখ্যা অপ ; জন্তুগণের জারজ সন্তান যে রূপ সহজেই উৎপন্ন হইয়া