পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33. উপক্ৰমণিকা । সমাগত হয়, পরে ইহার রস রক্তাশয়ে উপস্থিত হইয়া রক্তের উৎপত্তি করে, এবং তথা হইতে ফুসফুসীতে গিয়া বাতাস সংযোগে ইহার ঘোর লোহিত বর্ণ হয়, এবং পুনশ্চ তাহ রক্তাশয়ে আসিয়া উপস্থিত হইলে তথা হইতে রক্তবাহিনী শিরা দিয়া শরীরময় ব্যাপৃত হইয় প্রস্রাব, শুক্র, নিষ্ঠীবন প্রভৃতির উৎপত্তি করিয়া পরিষ্কৃত হইবার জন্য পুনশ্চ ঐ ফুসফুসীতে আসিয়া উপস্থিত হয়। এইরূপ ক্রমাগত । হওয়াতে জন্তুদিগের শরীর বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে, এবং স্ত্রী পুরুষ সংযোগে সস্তানোৎপত্তি হয় । অতএব আহার, নিদ্রা বিহার ইত্যাদি বিষয়ে উদ্ভিজ্জ্বগণ যদি জন্তুদিগের তুল্য কয়, এতদুভয়ের মধ্যে বিভিন্নত নাই বিলক্ষণ প্রকাশ পাইতেছে, কেবল ভিন্ন প্রকারে যন্ত্রের বৈ লক্ষণ্য হইয়ছে । অতএব উভয়ের উৎপত্তি এবং রদ্ধি বিষয়ে যদি কোন বিভিন্নত না থাকে তবে পালিত জন্তুদিগের ন্যায় উদ্ভিজ্জদিগের প্রতি ব্যবস্থা না করিলে কখন উত্তমরূপে তাঙ্গদিগের উৎপত্তি হইতে পারে না। বিশেষতঃ উদ্ভিজ্জ এবং জন্তুগণ এমত স্থিরতর সম্বন্ধে অপবদ্ধ আছে যে, যদি ইহার পরস্পর সাহায্য না করে তবে এক মূহুৰ্ব মধ্যে মহা প্রলয় হইতে পারে ; কারণ রসায়ন বিদ্যার পরীক্ষা দ্বারা নিরূপিত হইয়াছে যে, জন্তুরা যে নিশ্বাস পরিত্যাগ করে তাহাতে অত্যন্ত বিষাক্ত গুণ আছে, উদ্ভিজ্ঞগণ সেই সকল অন্তরস্থ করিয়া ইহুদিগের পরিষ্কৃত বায়ুর সহিত মিশ্রিত করত ঐ বিষাক্ত গুণ সংশোধন পূর্বক জন্তুদিগের জীবন রক্ষা করিতেছে। মনুষ্যগণ যখন রোগের করাল গ্রাসে পতিত