পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষি দপণ । উদ্ভিজ্ঞ স্বদেশীয় হইলে উহা জন্মিবার সময় দেখিয়া পুনশ্চ রোপণ করিবার কাল নিরূপিত হইতে পারে। কিন্তু যদি বৈদেশিক হয়, তবে পরীক্ষা দ্বারা কিম্বা সেই দেশীয় কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিলে নিরূপণ হইতে পারে। পরীক্ষা দ্বারা নিরূপণ করিতে হইলে এই এক অতি সহজ ধারা আছে, মথ, এই দেশের মধ্যে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষ এই তিন কালে তিন বার বপন করিলে তাহ নিৰ্দ্ধারিত হইতে পরিবেক। যদি অকালে বীজ বপন করা হয় তবে ঐ ঋতু উদ্ভিজ্জের স্বভাবের সহিত সম্মিলন না হওয়াতে তৎসমুদয় নষ্ট হইবার সম্ভাবনা, যথা, পালঙ্গ শাকের বাজ বর্ষাকালে বপন করিলে কিছুই ফলদায়ক হইতে পারে না । যদি শীতল দেশীয় কোন বীজ বপন করিতে হয়, তবে এই দেশে শীতের প্রথম অবস্থা ইহুদিগের পক্ষে অতি উত্তম সময় হইতে পারে। এই জন্য কপি, শালগণম, গাজর ইত্যাদি সমৃদয় শীতের আরম্ভেই রোপণ করা যায়, কারণ পূৰ্বাহ্নে পুতিলে অধিক বর্ষার জলে পচিয়া নষ্ট হইয়! যাইতে পারে। বহুহায়নদিগের পক্ষে উক্ত প্রকার মৃত্তিকার বিষয় বিবেচন৷ না করিলে কদাচ উৎপন্ন হইতে পারে না। যাহাদিগের মূল কোমল এবং রসে পরিপূর্ণ, তাহাদিগের পক্ষে বালি এবং চিক্কণমৃত্তিকাযুক্ত ভূমি উপযোগিনী হইতে পারে, যথা নারিকেল বৃক্ষর মুল অতিশয় কোমল এবং রসযুক্ত এই জন্য বেহার প্রদেশের শুষ্ক কঠিন চিকণ মৃত্তিকাতে রোপণ করিলে ইহার এল সকল বিদীর্ণ করণ পুৰ্বক মৃত্তিকায় প্রবেশ করিতে পারে না এবং তাদৃশ রস পাইতেও পারে না, এজন্য