পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ->><<= রত্নগৰ্ব বস্থঙ্করা নানাস্থানে নানা প্রকার রত্ন প্রসব করেন। কোন স্থানে স্বর্ণ রৌপ্য, কোন স্থানে বা হীরা, মণি, মাণিক্য, প্রবালাদি উৎপন্ন হষ্টয়া থাকে, এবং তৎসমীপবৰ্ত্তি স্থান বাসির ঐ সকল দ্রব্য আহরণ দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাঙ্কের উপায় নির্ধারিত করে । কিন্তু আমাদিগের এই সঙ্গরাজ্য মধ্যে উক্ত দ্রব্যাদি কিছুই উৎপন্ন হয় না, তথাপি ইহ মেরূপ অবস্থায় সংস্থাপিত আছে তাহ অবলোকন করিলে স্পষ্ট প্রতীত হয় যে ইক্ত কেবল উদ্ভিজ্জরূপ রত্বই প্রসব করিত্বেক, কারণ ইহাতে পর্বতশদির কোন প্রতিবঙ্গকতা না থাকাতে সমুদ্র হইতে আর্দ্র বায়ু সঞ্চালিত হইয়: মৃত্তিকাকে ক্রমাগত সরস রাখে । উত্তাপ, বৃষ্টিপাত এবং সৰ্বত্র নদীর জল প্রবাহিত হওয়াতে অমৃভূত হইতেছে যে এই দেশে অন্য সকলড্রব্য বিনিময়ে কেবল উদ্ভিজ্জই উৎপন্ন হইতে পারে, অতএব এতই স্থান বাসির তদ্বিষয়ের আলোচন দ্বারা দেহ যাত্রা নিৰ্বাহ করিবেক । বিশেষতঃ উষ্ণ দেশে রক্ষ সামগ্রী অর্থাৎ মদ্য মাংস প্রভৃতি কখন আহারোপযোগি হইতে পারে না, কারণ বহিরুত্তাপে এদেশীয় জীবের শরীর ক্লান্ত হইয়া থাকে, তাহাতে যদি কক্ষ সামগ্রী সহকারে শরীরের ভিতরের উত্তাপ বৃদ্ধি হয় তবে উভয়ের ক