পাতা:কৃষিদর্পণ - প্রথম ভাগ.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটি কলম ও গুটি কলম। মাটিকলম ও গুটিকলমের পরস্পর এইমাত্র প্রভেদ যে, মাটিকলম করিতে হইলে, শাখা অবনত করিয়৷ মৃত্তিক{ পূর্ণ টবে পুতিতে হয়। গুটিকলম করিতে হইলে, ব্লক্ষোপরি মৃত্তিক তুলিয়া শাখার চতুর্দিকে বান্ধিয়া দিতে হয়। “কিন্তু কলম সকল মকুষ্যের বুদ্ধি ও কৌশল সাধা, শাখায় মৃত্তিক সংযোগ হইলেই কলম হইতে পারে না। এই নিমিত্ত বৃক্ষ সকল কিরূপে পরিপুষ্ট হয়, তদ্বিষয়ক কিঞ্চিদ্বর্ণন করা আবশ্যক, এ বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু বলিতেছি। মৃত্তিকার রস বৃক্ষের কাষ্ঠমধ্যস্থিত রসবাহিক শির দ্বারা উপরিভাগে আকৃষ্ট হইয়া পত্র মধ্যে ভপনতাপে পরিপকূ হয়, অনন্তর ঐ রস ছালের মধ্যস্থিত শিরা দ্বারা প্রত্যাগত হইয়। মুল পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র ব্যাপিয়। ক্রমে ক্রমে বুক্ষেব সৰ্ব্বাংশ পুষ্ট করে । অতএব যে শাখা অবনত করিয়৷ কলম করিতে হয়, ভাহা হইতে ঐ পরিপকূ রস পুনৰ্ব্বার প্রকাণ্ড মধ্যে প্রত্যাগত ন হইতে পারে, এই নিমিত্ত শাখাৰ য়ে অংশ মৃত্তিকায় পুতিতে হইবে, সেই অংশের মুলড়াগের এক পত্র গঁইট হইতে আরম্ভ করিয়৷ অন্য পত্ৰ গইটু পর্যন্ত ছুরিকা দ্বারা দুই অংশ সমভাগে চিরিয়া দিবে। ঐ অংশ স্বয় পুনৰ্ব্বার পরস্পর মিলিত না इग्न এ কানুণ উহার মধ্যস্থলে এক কাষ্ঠ খণ্ড বা কাঞ্চ দিয়ণ মৃত্তিকায় এমত দৃঢ়ৰূপে পুভিতে হইবে, যাহাতে শাখ তথ্য হইতে উঠিন্তে ন পারে কিম্বা ঐ পর্বের মধ্যস্থল