পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

čK পারিয়া সেই রমণীকে বলিলেন-“মা, আমার বিচার-আচার নাই, আমি তোমার বালক-সন্তান, তোমার যেমন ইচ্ছ, তেমনই সাজাও।” ঢাকার প্রসিদ্ধ ধনী মধুসুদন দাসের বাড়ীতে ঐ নগরীর প্রাতঃস্মরণীয় ডাক্তার সিমসন সাহেবের সঙ্গে কৃষ্ণকমলের আলাপ হয়। উক্ত ডাক্তার, বন্ধুবান্ধবগণ সাহেব তাহার গুণের বিশেষ পক্ষপাতী হইয়াছিলেন এবং র্তাহার সহিত অন্তরঙ্গ বন্ধুর ন্যায় ব্যবহার করিতেন। নবাব বাহাদুর খাজে আবদুল গণি কৃষ্ণকমলের প্রতিভার একজন বিশেষ ভক্ত হইয়া দাড়াইয়াছিলেন, ইনি কৃষ্ণকমলের “ভারত-মিলন” যাত্রা যেখানে হইত, সেইখানে যাইয়া শুনিতেন। ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্ৰ মাণিক্য র্তাহাকে ২০০৭ (দুই শত) টাকা বেতনে তাহার সভাপণ্ডিতরূপে নিযুক্ত করিতে ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন এবং কৃষ্ণকমলের বাল্য-সুহৃদ তারাশঙ্কর তর্কালঙ্কার মহাশয় তাহাকে কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে একটি অধ্যাপকের পদ দিতে প্ৰস্তাব করিয়াছিলেন। গোস্বামী মহাশয় পর সেবা দ্বারা অর্থ উপার্জন করিতে রাজী ছিলেন না। ঢাকায় যখন কেশবচন্দ্র সেন গিয়াছিলেন, তখন অনেকবার কৃষ্ণকমল পরিচালিত নগর-সংকীৰ্ত্তনের পার্থে দাড়াইয়া তিনি তাহার। ভক্তির আবেশ দেখিয়া ধন্য হইয়াছিলেন । কৃষ্ণকমলের সঙ্গে কেশববাবুর পিতার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল, এবং তাঁহার ঢাকায় এই অল্পকাল অবস্থিতির মধ্যেই গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে বান্ধবত বেশ পাকিয়া উঠিয়াছিল। রামদিয়া গ্রামে রামকিশোর কুণ্ডুর শ্রাদ্ধোপলক্ষে কৃষ্ণকমল পশ্চিমবঙ্গের বহু গণ্য-মান্য ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করিয়া আনাইয়াছিলেন। কৃষ্ণকমলের সহপাঠী এবং বাল্যবন্ধু মুর্শিদাবাদের সুপ্ৰসিদ্ধ গঙ্গাধর কবিরাজ মহাশয় এই সময় নিমন্ত্রিত হইয়া রামদিয়া গ্রামে আসিয়া কৃষ্ণকমলের সঙ্গে মিলিত হইয়াছিলেন । কৃষ্ণকমল ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে হুগলী জেলার বঁাকীপুর গ্রামবাসী হরনাথ