পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\be खैशैदनै চুচড়ার যে ঘাটে তাঁহাকে দাহ করা হয়, তাহা “ঢালা ঘাট’ ও ‘বাবুঘাট”। ५यद्दे छुछ्रे नाटभ अलिश्ठि । কৃষ্ণকমলের চরিত্রের প্রধান গুণ ছিল চিত্তসংযম। তাঁহার “রাইউন্মাদিনী’ ও ‘স্বপ্নবিলাস’ প্ৰভৃতি পালা র্যাহারা শুনিয়াছেন, কঁাদিতে, কঁদিতে তাহদের চোখের পাতা শুকাইতে পায়। নাই। বাঙ্গালী কোন কবি বোধ হয়। এরূপ অপৰ্য্যাপ্ত করুণ রস তাঁহার কাব্যে ভরপুরভাবে আনিতে পারেন নাই। সে সকল আসর। র্যাহারা প্ৰত্যক্ষ না করিয়াছেন, তাহারা এই করুণ রসের মাত্রা অনুমান করিতে পারিকেন না, অনেক সময় শ্রোতৃবৰ্গ হৃদয়াবেগের আতিশয্যে গানের পদ অনুসরণ করিতে পারেন নাই। এই বিচলিতচিত্ত শ্রোতৃবর্গের চঞ্চলতার মধ্যে অনড় ও অবিচলিত-চিত্ত “বড় গোঁসাই” বসিয়া থাকিতেন, র্যাহার লেখার গুণে সকলের চক্ষে অজস্র অশ্রু, তিনি স্বয়ং এক ফোটা চোখের জলও ফেলিতেন না । একজন শিষ্য তাঁহাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিয়াছিলেন, “যখন ভাবের ব্যাপার, তখন কারণ আর কি হইতে পারে ? ভাবের অভাব। দেখা গ্ৰাম্য লোক কলিকাতায় গেলে সে যাহা দেখে তাহাতেই চঞ্চল হ’য়ে ওঠে, কোন কলিকাতাবাসী তেমন হয় না, গান, কীৰ্ত্তন চিরদিন শুনে আসছি, এইজন্য বোধ হয় ভাবের অভাব হয়েছে।” কিন্তু নিত্যগোপাল গোস্বামী এ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহার মৰ্ম্ম এই :-এই সংযম ভাবের অভাব-সুচক নহে, ইহা ভাবের আধিক্য ব্যঞ্জনা করিতেছে। অতিবেগে স্থৈৰ্য্য আসিয়া পড়ে, সে স্থৈৰ্য্য বাহ্যিক । গোস্বামী মহাশয় রাধিকার নৃত্যসূচক একটি প্রাচীন পদ উদ্ধৃত করিয়া এই কথাটি বুঝাইয়াছেন-সো পদটির প্রথম দুইটি ছত্র এইরূপ “না হবে ভূষণের ধবনি না নড়িবে চীর । দ্রুতগতি চরণে না বাজিবে মঞ্জীর”-এত দ্রুত চিত্তসংযম