পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`)8 कदJ-भांgव्यiba সময় হইতে এক নূতন মহিমা-মণ্ডিত হইয়া পড়িয়াছে। মহাপ্রভুর জীবনের অলৌকিকী প্রেমলীলা রাধা-কৃষ্ণচরিতে এক নুতন ভাবের জোগান দিয়াছে। বাঙ্গলাদেশ ক্ষমতা ও ঐশ্বৰ্য্যকে শ্ৰদ্ধা করে না, দারিদ্র্যকে স্বণা করে না, প্রেমকেই জীবনের একমাত্র সার বলিয়া বিবেচনা করে। বাঙ্গালীর চােখে রাজপ্রাসাদ হইতে মাধবীকুঞ্জ, রণ-দুন্দুভি হইতে বাঁশের বঁাশী বড়। তাহারা তাঁহাদের ধৰ্ম্ম শিখিতে নিজ পারিবারিক গণ্ডী অপেক্ষা কোন তীর্থকে বড় মনে করে না, তাহারা নিজেরা অঘাসুর, বকাসুর মারিবার জন্য কামান দাগিতে চেষ্টা করে না, তাহারা শুধু তাহাকেই ভালবাসিবে, যিনি তাঁহাদের হইয়া সমস্ত বিপদ দূর করিতে— অসম্ভবকে সম্ভব করিতে সমর্থ। পৃথিবীর সমস্ত মমতার দাবী স্বীকার করিয়া, অথচ সন্ন্যাসীর মত অনাসক্ত থাকিয়া সাংসারিক সম্বন্ধগুলির স্বারা ভগবানকে সাধনা করাই বাঙ্গালী ভক্তের তপস্যার সার্থকতা। এই সম্বন্ধগুলি বাঙ্গালীরা এরূপ বড় করিয়া দেখাইয়াছেন, যে শাস্ত্রের বিপুল তোরণকেও তাহারা অতিক্রম করিয়া গিয়াছে। শাস্ত্রকারেরা যে বৈধী৷ ভক্তির প্রাধান্য স্বীকার করিয়াছেন, তাহা বঙ্গীয় বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্ৰথম সোপান মাত্র, তাহার অপর নাম শান্ত ভাব ; ইহার পরের আর চারিটি ধাপ সম্পূৰ্ণ নব-কল্পিত,-নূতন সাধনা। “রাগানুগা’ শাস্ত্ৰকারের বৈকুণ্ঠের মাথা ডিঙ্গাইয়া চলিয়া যায়। এই নূতন ভাবের বাৰ্ত্ত কৃষ্ণদাস কবিরাজ অসাধারণ পাণ্ডিত্যের সহিত বঙ্গদেশে প্রচার করিয়া গিয়াছেন ৷ রূপ গোস্বামীর সংস্কৃত ভাষায় লিখিত গ্ৰন্থসমূহে এই তত্বের বিশেষ আলোচনা আছে, কৃষ্ণদাস কবিরাজ রূপের লেখার বিবৃতি করিয়া দেখাইয়াছেন। West efGes বিশিষ্টতা কৃষ্ণকমলের প্রেরণা