পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV) कवि-जभ6िवांछनी আস্ফালন নাই সত্য, কিন্তু পৌরষের প্রকৃত সার বিদ্যমান। বৈষ্ণব কবি রাধার তপস্যা সম্বন্ধে বলিতেছেন ঃ “কণ্টক গাড়ি কমলসম পদতল মঞ্জীর চীরহি ঝাঁপি । গগরি বারি ঢারি করি পিছল চলন্তহি অঙ্গুলি চাপি৷ মাধব তুয়া অভিসারকি লাগি। দূরতর পন্থগমন ধনি সাধয়ে মন্দিরে যামিনী জাগি ৷ করযুগে নয়ন মুদি চলু ভামিনী তিমির পয়ানক আশে। মণিকঙ্কণ পণ ফণী মুখবন্ধন শিখই ভূজগ গুরু পাশে ॥ গুরুজন বচন বধির সম মানই আনি শুনাই কহি আন । পরিজনবচনে মুগধি সম হাসই গোবিন্দদাস পরমাণ ॥” এই ত্যাগের ও সাধনার যে তপস্যা, তাহাতে অপৰ্য্যাপ্ত পৌরষ আছে-লক্ষ্যের প্রতি একনিষ্ঠ, নিৰ্ভীক, বিপদে আটল এই পৌরষ। ইহা সাময়িক উত্তেজনা নহে, হুজুক নহে, ইহা চিরস্থায়ী গ্ৰীতি-বল । রূপ, সনাতন, নরোত্তম প্রভৃতি বৈষ্ণব মহাজনেরা যে ত্যাগ ও পৌরষ দ্বারা ভক্তি অর্জন করিয়াছিলেন, রাধার নামের অন্তরালে ইহা সেই সাধনা । ইহাতে চৈতন্য-জীবনের অসীম কঠোরতা আছে। সেই কঠোর কল্পতরুর অমৃত ফল ভালবাসা দ্বারা এই পৌরব পুষ্ট । ব্যবহারিক জীবনের চরিত্রবাল-এই সাধনাজাত শক্তিমত্তার নিকট হীন-প্রভ । কিন্তু যদি তাঁহাই না হইত, যদি বাঙ্গালী কবির এই গ্ৰীতিপূর্ণ কাব্য শুধুই কোমলতার পরিচায়ক হইত, যদি এগুলি সুধুই বীণার নিৰুণ, কোকিল কাকলী বা বসোরার গোলাপ হইত, তাহা কি কবিদের একটা শ্রেষ্ঠ দান বলিয়া আমরা গ্ৰহণ করিতে দ্বিধা বোধ করিতাম ? আঙ্গুর লতার অপর্য্যাপ্ত ফল-সমৃদ্ধির সম্মুখে দাড়াইয়া যদি কেহ শুষ্ককণ্ঠে আপশোষ মাধুৰ্য্যেরও একটা মূল্য আছে