পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRVObra বিচিত্ৰবিলাস । আমি যেন মান ক’রে হ’য়েছিলেম দোষী, বলি তোকে শ্যাম উপেক্ষিল কি দোষে বল, বাঁশি । আমায় ছেড়ে গেছে, তোরেও ছেড়ে গেল, তোর দশা মোর দশা দেখি এই হ’ল, মুরলি ! যদি হ’ল আদর্শন, জেলে হুতাশন, এস। দুজনেতে করি জীবন বিসৰ্জন । ( সাশ্রনয়নে সখীগণের প্রতি ) বিশাখে । ললিতে ! আমার মানে অপমানিত হ’য়ে মনের দুঃখে প্ৰাণবল্লভ প্ৰাণ পরিত্যাগ ক’রেছেন, আমার কি জগতে মুখ দেখাতে আছে ? এ অভাগিনী পাপীয়সীর মুখ দেখতে তোদেরও মহাপাপ । তোদের বিনয় ক’রে ব’লছি, তোরা শীঘ্ৰ ক’রে অগ্নিকুণ্ড জ্বেলে দে, প্ৰাণনাথের অতি আদরের ধন এই মুরলীকে বুকে ক’রে, আমি সেই জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে এ পাপ প্ৰাণ পরিত্যাগ ক’রব । শ্যামলা। (রাধিকার হস্তধারণপূর্বক) ওগো রাধে ! ও বিনোদিনি ! তুমি এত বুদ্ধিমতী হ’য়ে কেন এমন অবোধিনী হ’লে ? ভাল ক’রে জানলে না, শুনলে না। একেবারে হতাশ হ’য়ে প্ৰাণত্যাগ করতে চ’ললে। ! ছি:৷ ছিা! এমন কাজ কখন ক’র না, আমার কাণে কাণে যেন কে ব’লে দিচ্ছে যে, “তোমাদের প্রাণবল্লভ এলেন ব’লে, তোমরা অধৈৰ্য্য হ’য়ে না”, রাধে ! এটাও কেন ভেবে দেখ না যে, যে জগতের প্রাণ, তার প্রাণ যাওয়া কি সাধারণ কথা ।