পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী আধুনিক শিক্ষিতদের নিকট এই সকল প্ৰবাদ-বাক্যের কোন মূল্য নাই; কিন্তু এইগুলির দ্বারা নিশ্চিতরূপে এ কথাটা বোঝা যায় যে, বৈষ্ণবসমাজ যে সকল গুণের আদর করিয়া থাকেন, এই পরিবারের মধ্যে সেই সকল গুণ সমধিক পরিমাণে ছিল, এবং এই জন্যই তাহারা ইহাদিগকে দেবতার অবতার বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ইহারা বৈদ্য হইলেও ব্রাহ্মণসমাজে বিশিষ্ট সম্মানলাভ করিয়াছিলেন, যেহেতু পুরুষোত্তমকে নিত্যানন্দের জামাতা মাধবাচাৰ্য্য গুরু বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। ঠাকুর কানাই হইতে এই বংশ গুরুগিরি করিয়াই জীবনযাত্ৰা নির্বাহ করিতেছেন, ইহাদের আদি বাসস্থান ছিল হুগলী জেলায় বোধখানা গ্ৰামে, তারপর ইহারা গঙ্গার তীরবত্তী সুখ-সাগর গ্রামে আসিয়া বাস করেন। পরবর্তী কালে কৃষ্ণকমলের পূর্বপুরুষেরা নদীয়া জেলায় ভাজনঘাটে আসিয়া বাস স্থাপন করেন। সম্পূর্ণ বংশাবলী নিয়ে দেওয়া যাইতেছে :- ১ । কংসারি সেন, ২। সদাশিব কবিরাজ, ৩ । পুরুষোত্তম, ৪ । কানাই ঠাকুর, ৫ । বংশীবদন, ৬। জনাৰ্দন, ৭ । রামকৃষ্ণ, ৮। রাধাবিনোদ, ৯ । রামচন্দ্ৰ, ১০ । মুরলীধর, ১১ ৷ কৃষ্ণকমল । কৃষ্ণকমলের পিতা মুরলীধর তদীয় অগ্ৰজ গিরিধর গোস্বামীর অনুমতি না লইয়া যমুনাদেবীর প্রাণিগ্রহণ করেন ; এই অপরাধে যমুনাদেবী সেই সংসারে অতিশয় নিগৃহীত ছিলেন। সে সময়ে একান্নভুক্ত পরিবারের যে রীতি-পদ্ধতি ছিল, তাহাতে মুরলীধর স্বীয় স্ত্রীর বিবিধ দুঃখ ও অপমানে মৰ্ম্মপীড়া পাইয়াও তাহার কোন প্ৰতিবিধান করিতে পারেন নাই। এই হতভাগিনী যমুনাদেবীর গর্ভে কৃষ্ণকমল ১৮১১ খৃষ্টাব্দের (১৭৩৩ শক) জুন মাসের শেষভাগে। (৯ই আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ) बाख्ा रुभूना cपदी