পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী নামক একজন কায়স্থ-শিষ্যের বাড়ীতে থাকিয়া ভাগবত পাঠ করিয়া সেই স্থানবাসী সকলকে মাতাইয়া তুলিয়াছিলেন। কলিকাতায় তাহার পুরাণ-পাঠের প্রতিপত্তি এরূপ বেশী হইয়াছিল যে, দ্বারকানাথ মল্লিক ও অপর কয়েকজন ধনাঢ্য ব্যক্তি র্তাহাকে কলিকাতায় রাখিতে বিশেষ যত্ন করিয়াছিলেন। কৃষ্ণকমল পূর্ববঙ্গের প্রতি বিশেষ অনুরাগী থাকায় এই প্ৰস্তাবে সন্মত হন নাই । কৃষ্ণকমল গোস্বামী ঢাকায় অনন্যসাধারণ প্ৰতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। শিষ্যদের মধ্যে তঁর অসাধারণ শাস্ত্ৰজ্ঞান ও ভক্তির উচ্ছাস তাহাকে দেবতার স্থানে আসীন করিয়া দিয়াছিল।” তিনি বৈদ্য হইলেও সর্বত্র ব্ৰাহ্মণের ন্যায় আদর লাভ করিয়াছেন। পূর্ববঙ্গের তৎকালীন প্ৰসিদ্ধ জমিদার ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ইহঁাকে পিতৃসম্বোধন করিতেন। একদা কোন ব্যক্তি বৈদ্ব্যের প্রতি এতটা সম্মান প্ৰদৰ্শনের জন্য তঁহার প্রতি কটাক্ষপাত করাতে তিনি বলিয়াছিলেন-“আমার বাবা মানুষ নহেন-দেবতা।” কোন এক ব্ৰাহ্মণ জোর করিয়া তাহারা উচ্ছিষ্ট খাওয়াতে ব্ৰাহ্মণমণ্ডলী বিরক্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু খড়দহের প্রভুপাদ গোপালকৃষ্ণ গোস্বামী বলিলেন, “ইহার পূর্বপুরুষ কানাই ঠাকুর নিত্যানন্দ-কন্যা গঙ্গাদেবীর গুরু ছিলেন-ইহার সম্বন্ধে এ সকল কথা হইতেই পারে না ।” ব্ৰাহ্মণেতার সৰ্ব্বজাতি৷ ইহাকে একরূপ পূজা করিতেন। ঢাকার কাগজীটােলার চৈতন্য সাহা নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তির স্ত্রী বৃন্দাবনের গৌরাঙ্গ বিগ্রহের পায়ের জন্য এক জোড়া সোনার নুপুর গড়াইয়া লইয়া যাইতেছিলেন, পথে স্বপ্নে দেখিলেন ; মহাপ্ৰভু বলিতেছেন, “ঐ নুপুর কৃষ্ণকমলের পায়ে পরাইলেই আমাকে পরানো হইবে।” কৃষ্ণকমল কিছুতেই এ ব্যাপারে স্বীকার পান নাই ; পরিশেষে নিতান্ত অনুরোধ, আবদার এড়াইতে না जांभविक &यंख्vिखि