পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 দিব্যোন্মাদ বা রাই-উন্মাদিনী (তাল দশকুশী) তখন শুনিয়ে বঁধুর কথা, আমার মরমে লাগিল ব্যথা, উপায় না দেখি বিচারিয়ে । -(হায় হায় কি ক’রব গো-বধুর লাগি )-- তখন আপন ভূষণ দিয়ে, সুবলকে রাই সাজাইয়ে, এলাম। আমি সুবল সাজিয়ে ৷ ” -( ধড়াচুড়া প’রে গো-সুবলের) --( বৎস কোলে ল’য়ে গো-কাচলী ঢেকে )-* দেখে নীলগিরি ধূলায় পড়ে, আমি তুলে নিলেম ধূলা ঝেড়ে, রাখিলেম। শ্যাম হিয়ার উপরি । -( কত যতন ক’রে গো )-- আমার পরশে চেতন পেয়ে, বলে আমার মুখ চেয়ে, কোথা আমার পরাণ কিশোরী” ৷ -( সুবল বল বলরে-কে দে কোঁদে বলে)- (তাল লোভা ) ব’ললেম আমিই তোমার সেই দাসী, --(নাথ ! আমায় বুঝি চেন নাই হে )-- ১ । বক্ষ আবরণ করিবার জন্য কঁাচলী ( বক্ষ-আবরণী-জামা) ঢাকিয়া গোরুর বাছুর লইয়া চলিলাম। কোন কোন কবিরা “সুবল মিলনো” বড় ফুলের মালা দিয়া স্তন ঢাকিবার কথা আছে। ২। আমাকে সুবল ভ্ৰম করিয়া কেঁদে কেঁদে বলিলেন “আমার প্রাণ-কিশোরী রাধা কোথায় সুবল বল ।”