পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকাস্তের উইল سالاد এই কথার পর হরলাল বিদায় হইলেন। তিনি গৃহের বাহির হইলে পর একটি স্ত্রীলোক তাহার। সম্মুখে জাসিল দাড়াইল। হরলাল উহাকে অন্ধকারে চিনিতে না পারিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে ও ", , স্ত্রীলোকটি হুই হন্তে অঞ্চল ধরিয়া বলিলেন, “আমি রোহিণী।” * BBBB BBBBD DDDD DBB BB BBBS B BBBB BBBDSDBBB DD S ষোলকলায় পরিপূর্ণ। সে অল্প বয়সে বিধবা হইয়াছিল, কিন্তু বৈধব্যের অনুপযোগী অনেকগুলি দোষ । তাহার ছিল। দোষ, সে কাল পেড়ে ধুতি পরিত, হাতে চুড়ি পরিত, পান খাইত, নির্জল একাদশী করিত না। পাড়ার লোকে কানাকানি করিত যে, সে মাছও খাইত। যখন পাড়ায় বিধবাবিবাহের হুজুক উঠিয়াছিল, তখন সে বলিয়াছিল, পাত্ৰ পাইলে আমি এখনই বিবাহ করি। - পক্ষাস্তরে তাহার অনেক গুণও ছিল। রন্ধনে সে দ্রৌপদীবিশেষ বলিলে হয় ; ঝোল, অক্স, চড়চড়ি, সড়সড়ি, ঘণ্ট, দালন, ইত্যাদিতে সিদ্ধহস্ত ; আবার আলপান, খয়েরের গহনা, ফুলের খেলনা, হচের কাজে তুলনারহিত। চুল বাধিতে, কন্যা সাজাইতে, পাড়ার একমাত্র অবলম্বন । পল্লীর মেয়ের যেখানে লুকিয়ে চুরিয়ে গানের মজলিষ করিত, রোহিণী সেখানে আখড়াধারী—টপ্পা, খামাবিষয়, কীৰ্ত্তন, পাচলি, কবি, রোহিণীর কণ্ঠাগ্রে। শুনা গিয়াছে, রোহিণী “ছিটা ফোট। তন্ত্র মন্ত্র" অনেক জানিত । সুতরাং মেয়েমহলে রোহিণীর পশারের সীমা ছিল না। তাহার আর কেহ সহায় ছিল না বলিয়া সে ব্ৰহ্মানদের বাটতে থাকিত। ব্রহ্মানন্দের গৃহ শূন্ত ; রোহিণী তাহার ঘরের গৃহিণী ছিল। দুই চারিটি মিষ্ট কথার পর রোহিণী জিজ্ঞাসা করিল, “কাকার কাছে যে জন্ত আসিয়াছিলেন, তাহার कि इहेल ?” হরলাল বিস্ময়াপন্ন এবং বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “কি জন্য আসিয়াছিলাম ?” রোহিণী মৃদু মুকু হাসিয়া বলিল, “সব শুনেছি। তুমি আমাকে ঐ হাজার টাকা দিবে—আমি তোমার উইল বদলাইয়া দিব ।” হরলাল বিস্মিত হইলেন ; বলিলেন, “সে কি রোহিণি?” পরে কহিলেন, “আশ্চৰ্য্যই বা কি ? তোমার অসাধ্য কৰ্ম্ম নাই। তা তুমি কি প্রকারে উইল বদলাইবে ?” রো। সে কথাটা আপনার সাক্ষাতে নাই বা বলিলাম। না পারি আপনার টাকা আপনি ফেরং जहे८यन । - হর। ফেরৎ ? তবে কি টাকা আগামী দিতে হবে নাকি ? রো। সব । হর । কেন, এত অবিশ্বাস কেন ? রৈ। আপনিই বা আমায় অবিশ্বাস করেন কেন ? হর। কবে এটা পারবে ? রো । আজিকেই । রাত্র তৃতীয় প্রহরে এইখানে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবেন। হরলাল বলিলেন, “ভাল,” এই বলিয়া তিনি রোহিণীর হাতে হাজার টাকার নোট গণিয়া দিলেন ।