পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ..." . ના । यण দেখি ? : ... . জ। রোহিণীকে বাচাইতে । - “তাই।” বলিয়া গোবিন্দলাল ভোমরার মুখচুম্বন করিলেন। পরন্থঃখকাতরের হৃদয় পরছঃখকাতরে বুঝিল—তাই গোবিন্দলাল ভ্রমরের মুখচুম্বন করিলেন। ኳ একাদশ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল কৃষ্ণকান্ত রায়ের সদর কাছারিতে গিয়া দর্শন দিলেন । কৃষ্ণকান্ত প্রাতঃকালেই কাছারিতে বসিয়াছিলেন। গদির উপর মসনদ করিয়া বসিয়, সোণার আলবোলায় অম্বুরি তামাকু চড়াইয়া, মর্ত্যলোকে স্বর্গের অনুকরণ করিতেছিলেন। এক পাশে রাশি রাশি দপ্তরে বাধা চিঠা, খতিয়ান, দাখিলা, জমাওয়াশীল, থোকা, করচ, বাকি জায়, শেহা, রোকড় —আর এক পাশে নায়েব, গোমস্ত, কারকুন, মুহুরি, তহশীলদার, আমীন, পাইক, প্রজা। সম্মুখে অধোবদন অবগুণ্ঠনবতী রোহিণী । গোবিন্দলাল আদরের ভ্রাতুপুত্র। প্রবেশ করিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হয়েছে জ্যেঠা মহাশয় ?” র্তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া, রোহিণী অবগুণ্ঠন ঈষৎ মুক্ত করিয়া, তাহার প্রতি ক্ষণিক কটাক্ষ করিল। কৃষ্ণকান্ত র্তাহার কথায় কি উত্তর করিলেন, তৎপ্রতি গোবিন্দলাল বিশেষ মনোযোগ করিতে পারিলেন না; ভাবিলেন, সেই কটাক্ষের অর্থ কি। শেষ সিদ্ধান্ত করিলেন, “এ কাতর কটাক্ষের অর্থ, ভিক্ষা ।” কি ভিক্ষা ! গোবিন্দলাল ভাবিলেন, আর্তের ভিক্ষা আর কি ? বিপদ হইতে উদ্ধার। সই বাপী তীরে সোপানোপরে দাড়াইয়া যে কথোপকথন হইয়াছিল, তাহাও ডাহার এই ময়ে মনে পড়িল। গোবিন্দলাল রোহিণীকে বলিয়াছিলেন, “তোমার যদি কোন বিষয়ের ষ্ট থাকে, তবে আজি হউক, কালি হউক, আমাকে জানাইও।” আজি ত রোহিণীর কষ্ট টে, বুঝি এই ইঙ্গিতে রোহিণী তাহাকে তাহ জানাইল । গোবিন্দলাল মনে মনে ভাবিলেন, “তোমার মঙ্গল সাধি, ইহা আমার ইচ্ছা ; কেন না, হলোকে তোমার সহায় কেহ নাই দেখিতেছি। কিন্তু তুমি যে লোকের হাতে পড়িয়াছ— গমার রক্ষা সহজ নহে।” এই ভাবিয়া প্রকাশ্বে জ্যেষ্ঠতাতকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি য়ছে জ্যেঠা মহাশয় ?”