পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰজগোপী-ভাগবত রাসলীলা ভাগবতের দশম স্বন্ধে ২৯৩e৩১৩২.৩৩ এই পাঁচ অধ্যায় রাসপঞ্চাধ্যায়। প্রথম অর্থাৎ উনত্রিংশ অধ্যায়ে শারদ পূর্ণিমা রঞ্জনীতে শ্ৰীকৃষ্ণ মধুর বেণুবাদন করিলেন। পাঠকের স্মরণ হইবে যে, বিষ্ণুপুরাণে আছে তিনি কলপদ অর্থাৎ অফুটপদ গীত করিলেন। ভাগবভকার সেই কল শব্দ রাখিয়াছেন, যথা “জগে কলম"। টীকাকার বিশ্বনাথ চক্রবর্তী এই “কল” শব্দ হইতে কৃষ্ণমন্ত্রের বীজ ক্লীং' শব্দ নিম্পন্ন করিয়াছেন। তিনি উহাকে কামগীত বলিয়াছেন। টীকাকারদিগের মহিমা অনন্ত । পুরাণকার স্বয়ং ঐ গীতকে ‘অনঙ্গবৰ্দ্ধনম্। বলিয়াছেন। বংশীধ্বনি শুনিয়া গোপাঙ্গনাগণ কৃষ্ণদৰ্শনে ধাবিত হইল। পুরাণকার তাহাদিগের ত্বর এবং বিভ্রম যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তাহ পাঠ করিয়া কালিদাসকৃত পুরস্ত্রীগণের ত্বর এবং বিভ্রমবর্ণনা মনে পড়ে। কে কাহার অনুকরণ করিয়াছে তাহ বলা যায় না। গোপীগণ সমাগত হইলে, কৃষ্ণ যেন কিছুই জানেন না, এই ভাবে তাহাদিগকে বলিলেন, “তোমাদিগের মঙ্গল ত ? তোমাদিগের প্রিয় কাৰ্য্য কি করিব ? ব্রজের কুশল ত ? তোমরা কেন আসিয়াছ ?” এই বলিয়া আবার বলিতে লাগিলেন যে, “এই রজনী ঘোররূপা, ভীষণ পশু সকল এখানে আছে, এ স্ত্রীলোকদিগের থাকিবার যোগ্য স্থান নয়। অতএব তোমরা ব্রজে ফিরিয়া যাও। তোমাদের মাতা পিতা পুত্র ভ্রাতা পতি তোমাদিগকে না দেখিয়া তোমাদিগের অন্বেষণ করিতেছে। বন্ধুগণের ভয়োৎপত্তির কারণ হইও না। রাকাচন্দ্রবিরঞ্জিত যমুনাসমীরণলীলাকম্পিত তরুপল্লবশোভিত কুসুমিত বন দেখিলে ত ? এখন হে সতীগণ, অচিরে প্রতিগমন করিয়া পতিসেবী কর । বালক ও বৎস সকল কঁাদিতেছে, তাহাদিগকে দুগ্ধপান করাও। অথবা আমার প্রতি স্নেহ করিয়া, স্নেহের বশীভূতবুদ্ধি হইয়া আসিয়া থাকিবে। সকল প্রাণীই আমার প্রতি এইরূপ প্রতি করিয়া থাকে। কিন্তু হে কল্যাণীগণ! পতির অকপট শুশ্রুষা এবং বন্ধুগণের ও সন্তানগণের অনুপোষণ ইহাই স্ত্রীলোকদিগের প্রধান ধৰ্ম্ম। পতি স্থলীলই হউক, তুৰ্ভগই হউক, জড় হউক, রোগী বা অধনী হউক, যে স্ত্রীগণ অপাতকী হইয়। উভয় লোকের মঙ্গল কামনা করে, তাহাদিগের দ্বারা সে পতি পরিত্যাজ্য নয়। কুলস্ত্রীদিগের উপপত্য অস্বর্গ্য, 歌