পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૭ ...কৃষ্ণচরিত্র।" to...? » এমন বিচার উঠিতে পারে যে, গীতায় যে ধৰ্ম্ম কথিত হইয়াছে তাহা গীতাকার কৃষ্ণের মুখে বসাইয়াছেন বটে, কিন্তু সে ধৰ্ম্ম যে কৃষ্ণ প্রচারিত কি গীতাকার প্রণীত, তাহার স্থিরতা । কি ? সৌভাগ্য ক্রমে আমরা গীত-পৰ্ব্বাধ্যায় ভিন্ন মহাভারতের অন্তান্ত অংশেও কৃষ্ণদন্তু " ধৰ্ম্মোপদেশ দেখিতে পাই । যদি আমরা দেখি যে গীতায় যে অভিনব ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যাত হইয়াছে আর মহাভারতের অন্যান্য অংশে কৃষ্ণ যে ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যাত করিতেছেন, ইহার মধ্যে একতা আছে, তাহা হইলে আমরা বলিতে পারি যে এই ধৰ্ম্ম কৃষ্ণপ্রণীত এবং কৃষ্ণপ্রচারিতই বটে। মহাভারতের ঐতিহাসিকতা যদি স্বীকার করি, আর যদি দেখি যে মহাভারতকার যে ধৰ্ম্মব্যাখ্যা স্থানে স্থানে কৃষ্ণে আরোপ করিয়াছেন, তাহা সৰ্ব্বত্র এক প্রকৃতির ধৰ্ম্ম, যদি পুনশ্চ দেখি যে সেই ধৰ্ম্ম প্রচলিত ধৰ্ম্ম হইতে ভিন্ন প্রকৃতির ধৰ্ম্ম ; তবে বলিব এই ধৰ্ম্ম কৃষ্ণেরই প্রচারিত। আবার যদি দেখি যে গীতায় যে ধৰ্ম্ম সবিস্তারে এবং পুর্ণতার সহিত ব্যাখ্যাত হুইয়াছে, তাহার সহিত ঐ কৃষ্ণপ্রচারিত ধৰ্ম্মের সঙ্গে ঐক্য আছে, উহ তাহারই আংশিক ব্যাখ্যা মাত্র, তবে বলিব যে গীতোক্ত ধৰ্ম্ম যথার্থই কৃষ্ণপ্রণীত বটে। এখন দেখা যাউক কৃষ্ণ এখানে সঞ্জয়কে কি বলিতেছেন । “শুচি ও কুটুম্বপরিপালক হইয়া বেদাধ্যয়ন করতঃ জীবনযাপন করিবে, এইরূপ শাস্ত্রনিদিষ্ট বিধি বিদ্যমান থাকিলেও ব্রাহ্মণগণের নানা প্রকার বুদ্ধি জন্মিয় থাকে। কেহ কৰ্ম্মবশতঃ কেহ বা কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া একমাত্র বেদজ্ঞান দ্বারা মোক্ষ লাভ হয়, এইরূপ স্বীকার করিয়া থাকেন ; কিন্তু যেমন ভোজন না করিলে তৃপ্তিলাভ হয় না, তদ্রুপ কৰ্ম্মানুষ্ঠান না করিয়া কেবল বেদজ্ঞ হইলে ব্রাহ্মণগণের কদাচ মোক্ষলাভ হয় না। যে সমস্ত বিদ্যা দ্বারা কৰ্ম্ম সংসাধন হইয়া থাকে, তাহাই ফলবতী ; যাহাতে কোন কৰ্ম্মাহুষ্ঠানের বিধি নাই, সে বিছা নিতান্ত নিস্ফল। অতএব যেমন পিপাসাৰ্ত্ত ব্যক্তির জল পান করিবামাত্র পিপাসা BB BBS BBB BBBBB BB BBB BBB BB BBB BBB BBS BBB BBB BB BBB S B BB S BBBBBB BBB BB BBB BBBBB S BBBBS BB BBBBB S B BB BB BBBS অন্য কোন বিষয়কে উৎকৃষ্ট বিবেচনা করিয়া থাকে, তাহার সমস্ত কৰ্ম্মই নিফল হয়। “দেখ, দেবগণ কৰ্ম্মবলে প্রভাবসম্পন্ন হইয়াছেন ; সমীরণ কৰ্ম্মবলে সতত সঞ্চরণ করিতেছেন ; দিবাকর কৰ্ম্মবলে আলস্যশূন্ত হইয়া অহোরাত্র পরিভ্রমণ করিতেছেন ; চন্দ্ৰম কৰ্ম্মবলে নক্ষত্রমণ্ডলী পরিবৃত হইয়৷ মাসাৰ্দ্ধ উদিত হইতেছেন, হুতাশন কৰ্ম্মবলে প্ৰজাগণের কৰ্ম্ম সংসাধন করিয়া নিরবচ্ছিন্ন উত্তাপ প্রদান করিতেছেন ; পৃথিবী কৰ্ম্মবলে নিতান্ত দুর্ভর ভার অনায়াসেই বহন করিতেছেন ; স্রোতস্বতী সকল কৰ্ম্মবলে প্রাণীগণের তৃপ্তিসাধন করিয়া সলিলরাশি ধারণ করিতেছে ; অমিতবলশালী দেবরাজ ইন্দ্র দেবগণের মধ্যে প্রাধান্ত লাভ করিবার নিমিত্ত ব্রহ্মচর্য্যের অম্বষ্ঠান করিয়াছিলেন। তিনি সেই কৰ্ম্মবলে দশ দিক ও নভোমণ্ডল প্রতিধ্বনিত করিয়া বারিবর্ষণ করিয়া থাকেন এবং অপ্রমত্তচিত্তে ভোগাভিলাষ