পাতা:কৃষ্ণ-যজুর্ব্বেদীয়-শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ । ፩ ጫ ' ন তস্য রোগে ন জরা ন দুঃখং প্রাপ্তস্য যোগাগ্নিময়ং শরীরম্ ॥ ১২ ৷ লঘুত্বমারোগ্যমলোলুপত্বং বর্ণপ্রয়াদাঃ স্বরসৌষ্ঠবঞ্চ। iঃ শুভে৷ মূত্রপুরীষমল্পং যোগ প্রবৃত্তিং প্রথমাং বদন্তি ॥ ১৩ ॥ পুরা। গন্ধবত্যপরাkপ্রাক্ত চতস্রস্তু প্রবৃত্তয়: আসাং যোগপ্রবৃত্তীনাং যদোকাপি প্রবর্ততে। প্রবৃত্তযোগং তং প্রাহুর্যোগিনে যোগচিস্তকাঃ ॥১২ লঘুত্ত্বমিতি ॥ ন তস্ত যোগিনে রোগাজ জরা দুঃখমমানসং বা ভবতি । কস্ত প্রাপ্তস্ত যোগাগ্নিময়ং শরীরম্। যোগাগ্নিসংশ্লষ্টদোষকলাপং শরীরং প্রাপ্তম্ভ। স্পষ্টমন্তং । ১৩ । দোষসকল যোগাগ্নিদ্বারা দগ্ধ হইয়াযায়, সুতরাং তাহার রোগ ও জরাদি দুঃখ অনুভূত হয় না । উক্ত যোগদ্বারাই মনুষ্যবৰ্গ জরামরণাদিবিহীন হইয়া অনস্ত কাল নিত্য মুখের অধিকারী হইয়া থাকে ॥ ১২ ॥ যোগপ্রবৃত্ত ব্যক্তির সৰ্ব্বদা শরীরের লঘুত্ত্ব থাকে, নিরস্তর আরোগ্য বিরাজ করে, কোন বিষয়ে অভিলাষ জন্মে না, বর্ণের প্রসন্নত হয়, কণ্ঠস্বরের শোভা বৃদ্ধি হয়, সৰ্ব্বদা শুভ গন্ধ আভ্রাত হইতে থাকে ও ক্রমশঃ মূত্রপুরীষাদির লাঘব হয় । তত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতগণ এই সকলকে যোগপ্রবৃত্তির প্রথম লক্ষণ বলিয়া থাকেন । যাহাদিগের শরীরে পূৰ্ব্বোক্ত লক্ষণগুলি দৃষ্ট হয়, তাহারাই যথার্থ নিত্য সুখভোগ করিতে সমর্থ হয় ও তাহtদিগকেই জীবন্মুক্ত বলা যাইতে পারে ॥ ১৩ ॥