Ꮌ8 তৈত্তিরয়োপনিষদ | এই ব্রাহ্মণবাক্যে ("প্রহ্মবিদাপ্নোতি পরম" ইত্যাদি বাক্যে) যে বিষয় অতিহিত ষ্টয়াছে, সেই বিষয়েই এইরূপ একটা ঋকৃও (মন্ত্রও) পঠিত আছে -“ব্ৰহ্ম সত্য জ্ঞান ও অনস্ত স্বরূপ’ । ইহাঙ্গ ব্রহ্মের লক্ষণ । এখানে সত্যপ্রভৃতি পদ ত্রয় বিশেষণ, আর সন্ধ উতাদের বিশেষ । বেদ্যৰূপে (জ্ঞেয়রূপে ) ব্ৰহ্মই এখানে বিবক্ষিত ; এইজন্য ব্ৰহ্মই বিশেষ্য। যে হেতু বেগুরুপে ব্ৰহ্মই এখানে প্রধানতঃ বিরক্ষিত ( শ্রুতিবচনের অভিপ্রেত ),সেই হেতু ব্ৰহ্মকে বিশেষ্য বলিয়া জানিতে স্ট্রবে। এইরূপু বিশেষণ-বিশেয়ভাব থাকাতেই সমান বিভক্তিযুক্ত সত্যাদি পদ তিনট সমানাধিকরণ (একই বিশেষে অন্বিত্ব ) । অভিপ্রায় এই যে, বন্ধকে সত্যাদি তিনটী বিশেষণ দ্বারা বিশেষিত করিয়া অপর সমস্ত বিশেষ্ণু হঠতে পৃথক্ করা হইতেছে । এইরূপে অন্ত পদার্থ হইতে বিশেষিত হইলেই সমস্ত বস্ত যথাযথ ভাবে বিজ্ঞাত হইয়া থাকে। যেমন নীল মৃহৎ সুগন্ধী উৎপল (পদ্ম ) বললে, নীল প্রভৃতি বিশেষণ দ্বারা বিশেষিত উৎপলটী অন্য প্রকার উৎপল হইতে পৃথক রূপে বিজ্ঞাত হইয়া থাকে, ইহা ৪ ঠিক তেমনই ৫ ভাল কথা, বিশেষ্য বস্তুটি বিশেষণস্তরে সংক্রমণযোগ্য হইলেই বিশেষিত করা আবখ্যক হয়, যেমন উৎপল নীল ও রক্তবর্ণ উভয়প্রকারই হইতে BBB S BBB BBS BBBB BBBS BBBB DD S BBKS gB BBS যখন এক জাতীয় বহু দ্রব্য অন্যপ্রকার দিশেষণ দ্বারা বিশেষিত হইবার যোগ্য হয়, তখনই নিৰ্দ্ধারণের জন্য বিশেষণ-প্রয়োগ সার্থক হইয়া থাকে ; কিন্তু একই বস্তুতে বিশেষণপ্রয়োগ কখনই সার্থক হইতে পারে না ; কারণ, সেখানে অপর বিশেষণের সম্ভাবনাই থাকে না ; যেমন ঐ একটি আদিত্য'। তেমনি বন্ধও একই বস্তু ; অপর বহু ব্ৰহ্ম নাই,যtহাদের হইতে-নীল উৎপলের ন্যায় ব্রহ্মকে বিশেষিত করা হইতে পারে । না, এ আপত্তি হইতে পারে না ; যেহেতু এখানে লক্ষণ নির্দেশ করাই বিশেষণ-প্রয়োগের উদেশ্ব। অভিপ্রায় এই যে, তুমি ষে, বিশেষণের আনৰ্থক্য রূপ দোষক্ষেপ করিয়াছ, বস্তুতঃ সে দোষ হয় না । কেন হয় না ? যেহেতু এখানে লক্ষণ নির্দেশ করাই বিশেষণ সমূহের প্রধান উদ্দেশু, কিন্তু কেপল বস্তুকে বিশেষিত ক বাটাই উদ্দেশ্য নহে। ভাল, জিজ্ঞাসা করি— তাহা হইলে, লক্ষণ ও লক্ষ্যের ( যাহার লক্ষণ করা হয, তাহার এবং বিশেষ । ও বিশেষ্যের প্রভেদ কি ? হ ! বলা হইতেছে- বিশেষণসমূহ সাধারণতঃ বিশেষকে তজ্জাতীয় অপর সমস্ত পদার্থ হইতে পৃথক করে ; আর লক্ষণ সাধারণতঃ সঙ্গাতীয় ও বিজাতীয় অপর সমস্ত পদাৰ্থ হইতেই লক্ষ্যের পথ ক্য
