পাতা:কৃষ্ণ-যজুর্ব্বেদীয় তৈত্তিরীয়োপনিষদ প্রথম ভাগ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

、登や。 তৈত্তিরয়োপনিষদ আমিই অস্থ*্যামিরূপে বৃক্ষের ন্যায় ছেদনীয় এই সংসার-বৃক্ষের প্রেরক বা প্ৰবৰ্ত্তক । আমার কীৰ্ত্তি—খ্যাতি ৭ মহিমা পৰ্ব্বতশৃঙ্গের ন্যায় উত্থিত বা সমুন্নত । আমিই উর্দ্ধপবিত্র অর্থাৎ উদ্ধে-পরম কারণ পর ব্রহ্মে, যাহার-সৰ্ব্বায়ুভাবাপন্ন যে আমার, পবিত্র-পবিত্ৰতাজনক অর্থাৎ জ্ঞানপ্রকাশু আত্মতত্ত্ব বিদ্যমান,সেই আমি হইতেছি—উৰ্দ্ধপবিত্র ; বাঞ্জিতে-বাজ অর্থ—অন্ন,তবিশি৯ সুৰ্য্যেতে যেরূপ ; অর্থাৎ শত শত শ্রীতি ও স্মৃতি শাস্ত্র হইতে জানা যায় যে, স্বর্ষ্যেতে যেরূপ অমৃত অর্থাৎ বিশুদ্ধ আত্মতত্ত্ব প্রসিদ্ধ, সেইরূপ আমিও ক্ষু অমৃত – উত্তম বিশুদ্ধ আত্মতত্ত্বরূপে অবস্থিত আছি ॥১ আত্মতত্বই দীপ্তিযুক্ত ধন, আমিই তৎস্বরূপ । এখানেও আমি পদটর অকুস্কৃত্তি হইয়াছে। অথবা দপিণ অর্থ-দ্রবিণের ন্যায় ; ধনে ( দ্রবিণে ) ভোগসুখ জন্মায়, আর ব্ৰহ্মজ্ঞানেও মোক্ষ-সুখ পাওয়া যায় ; এই কারণে উহ! দ্রবিণের ন্যায় ; এবং আত্মতত্ত্ব প্রকাশ করে বলিয়া সবর্চসও বটে। দ্বিতীয় অর্থের কালে দ্রবিণতুল্য ব্ৰহ্মজ্ঞান— আমি প্রাপ্ত হইয়াছি। এই পদের অধ্যাহার করিতে হইবে । সুমেধা অর্থ —যাহার ( আমার ) মেধা–ব্রহ্মজ্ঞান সু-শোভন অৰ্থাৎ উত্তম, সেই আমি-হমেধা ; কেন না, সংসারের উৎপত্তি স্থিতি ও সংহার-কৌশল পরিজ্ঞাত থাকায় আমার মেধা সু (উত্তম ) । এই কারণেই আমি অমৃত-মরণ পুঠিত, অক্ষিত অর্থ-অক্ষীণ অর্থাৎ অব্যয় বা ক্ষয়রহিত ; অথবা [ 'অমৃতোক্ষিত’ এই পদটর অমৃত + উক্ষিত, এইরূপ সন্ধিবিশ্লেষণ করিলে অর্থ হয় যে, অমৃতে সদানন্দরসে সিক্ত। এতদনুরূপ ‘ব্রাহ্মণ'বাক্যও আছে ‘আমি অমৃতধারা সিক্ত’ । ত্রিশ নামক ব্ৰহ্মভাবাপন্ন ব্রহ্মবিদ ঋষির এই প্রকারই বেদাঙ্কুবচন,— বেদ অর্থ-বেদন ( জানা ) অর্থাৎ আত্মৈকত্ব বিজ্ঞান ; সেষ্ট বিজ্ঞান লাভের (অধু ) পশ্চাৎ যে, বচন (উপদেশ ), তাহাই বেদানুবচন । বামদেবের ন্যায় ত্রিশঙ্কু ঋষিও আর্ষদর্শনে, আত্মতত্ত্ব প্রকাশক যে বেদ মন্ত্র উপলব্ধি করিয়াছিলেন, আপনার কৃতার্থতা-প্লাপনের মিমিস্ত তিনি তাহাই প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন ॥২ প্রথমতঃ ঋতম, ইত্যাদি বাক্যে ধৰ্ম্মোপদেশ করিয়া, তাহার পর এই বেদানুবচনের উল্লেখ থাকায় বুঝা যাইতেছে যে, ব্রহ্মবিদ্যা সমুৎপত্তির জন্ত এই মন্ত্রটার জপ করিতে হয় । এই প্রকারে যে ব্যক্তি ব্রহ্মবিদ্যালাভের জন্য, শ্রতিস্থতিবিহিত নিত্যকৰ্ম্ম সমূহে নিষ্কামভাবে নিয়ত থাকে অর্থাৎ নিয়মিত