পাতা:কেদার রাজা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9W কেদার রাজা উপরে গিয়ে দেখলে গ্রামের জগন্নাথ চাটুয্যে কার মুখে খবর পেয়ে এসে পৌছে গিয়েচোন। বাবা ও জ্যাঠামশায়ের সঙ্গে বসে গল্প কারচেন। ‘ওকে দেখে জগন্নাথ বললেন, এই যে মা শরৎ, তা কাশী গয়া অনেক জায়গা বেড়িয়ে এলে বাবার সঙ্গে আর গোপেশ্বর ভায়ার সঙ্গে ? ভালো -2}झ 65 रुछ: 6बgiga i বুদ্ধিমতী শরৎ বুঝলে এ গল্প জ্যাঠামশায়ই রচনা করেচেন তাদের দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণ নির্দেশ করবার জন্যে। শরৎ জগন্নাথ চাটুয্যের পায়ের ধূলো নিয়ে প্ৰণাম করলে । —এসো, এসে মা যাক ; চিরজীবী হও—তা কোন কোন দেশ দেখলে কেদার বললেন, দেড় বছর ধরে তো বেড়ানো হয় নি । আমি মধ্যে চাকরীর করেছিলাম হিংনাড়ার বাজারে ঘোষেদের আড়তে | এই গোপেশ্বর দাদা সপরিবারে পশ্চিমে গেলেন, শরৎকে নিয়ে গিয়েছিলেন--- শরৎ বললে, চা খাবোন জ্যাঠামশায়, যাবেন না বসুন । আমি বাসনগুলো ধুয়ে আনি পুকুরঘাট থেকে । আবার সে ছুটে এল কালোপায়রা দীঘির পাড়ে ছাতিম বনের দীর্ঘ, ঘন, শীতল ছায়ায় । পুরোনো দিনের মত আবার রোদ রাঙা ? উঠে গিয়েচে ছাতিম গাছের মাথায় । বেলা পড়ে এসেচে ; এমন সময়ে দূর থেকে রাজলক্ষ্মীকে আসতে দেখে সে হঠাৎ লুকিয়ে আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়ে রইল । রাজলক্ষ্মীর হাতে একটি প্ৰদীপ, তেল সলতে দেওয়া । দুজনেই দুজনকে দেখে উচ্ছসিত আনন্দে আত্মহারা । রাজলক্ষ্মী হেসে বললে, মানুষ না ভুত, দিদি ? -ङ्, छात्र पांड् भकिig२! !