পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

৩৪ । কৈকেয়ী। আমরা শিক্ষা কাৰ্যে পরিণত করিতে প্রাণপণ করি এবং ক্রোধ উদ্রেক সময়ে এরামচর্থের ব্যবহার স্মরণ করিতে পারি। | রাম লক্ষ্মণকে ক্ৰদ দেখিয়া প্রথমেই কোন উপদেশ দিলেন না, কিন্তু একবার আলিঙ্গন করিলেন। শান্ত ব্যক্তির স্পর্শে, ক্রদ্ধ ব্যক্তির শরীরে, এক ক্রিয়া হয়, তাহাতে ক্রোধের কিছু শান্তি কর। শান্ত ভাবে ঐ ব্যক্তির হস্ত ধারণ করিলে, ক্রোধ ক্ষণকালের জন্য যেন প্রবাহিত হয় না। রাম প্রথমে যাহা বলিলেন তাহাতে একটু যেন শ্লেষ মিশ্রিত ছিল, কিন্তু স্বভাব বিনয়ী রামচন্দ্রের মুখ হইতে বাহির হইয়া তাহা সতরূপে দাঁড়াইল। রাম বলিলেনরঘুকুল শ্রেষ্ঠ। তুমি বীর এবং আমার অত্যন্ত হিতৈষী। কারণ আমার অতপ্রিয় ভরতকেও আমার জন্য বিনাশ করিতে উদ্যত হইয়াছ। কিন্তু লক্ষণ! বিক্ৰম প্রকাশের সময় ত ইহা নহে। “কিন্তু তে সময়ে নহি”। তখন রাম তত্ত্ব কথা কহিলেন--মানুষ যদি পুনঃ পুনঃ এই উপদেশগুলি আলোচনা করিয়া স্মরণ রাখিতে পারে তবে মানুষ কতই লাভবান হয়। রাম বলিতে লাগিলেন “যদদ; দৃশ্যতে সৰ্ব্বং রাজ্যং দেহাদিকঞ্চ যৎ” এই রাজ্য, এই দে, এই যাহা সমস্ত দেখিতেছ, ইহা যদি নিত্য হয়, ইহা যদি সৰ্ব্বদা থাকে, তবে ইহার জন্য তােমার পরিশ্রম সফল। “আয়াসঃ সফলশ্চতে কিন্তু ভাই। বিচার