পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

কৈকেয়ী। | ৪৭ শাস্ত্র-প্রমাণে আমরা ইহা দেখাইতেছি। অধ্যায় রামায়ণের প্রথমেই আমরা নারদ ঋষিকে চিন্তাকুল দেখি। সে চিন্তা জগতের দুঃখ দেখিয়া। কলিযুগে জীব বহু দুঃখে পড়িবে। নারদ ইহাদের ভাবী দুঃখে ব্যথিত হইয়া ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন ‘কলির দুঃখী জীবের উদ্ধার কিরূপে হইবে? ইহারা কোন প্রকার কঠিন তপস। করিতে পারিবে না, ইহাদের জন্য কি কোন গঘু উপায় আছে ? কেহ কেহ বলেন, শাস্ত্র কি কলির জীবের অবস্থা। ঠিক ঠিক বর্ণিত হইয়াছে, না অতিরঞ্জিত হইয়াছে ? আমরা শাস্ত্র বাক্যই উধত করিতেছি, পাঠ করিয়া সকলেই বুঝিবেন শাস্ত্রের কথা সম্পূর্ণ সত্য। শাস্ত্র বলেন প্রাপ্তে কলিযুগে ঘােরে না: পুণ্যবিবর্জিতা। দুরাচাররতাঃ সৰ্ব্বে সতাবার্তাপরাঘুষাঃ । পরাপবাদনর তাঃ পর দ্রব্যাভিলাষি। পরস্ত্রীসক্তমনসঃ পরহিংসাপরায়ণাঃ । দেহাম্মদৃয়ে মৃঢ়া নাস্তিকা: পশুবুদ্ধয়। মাতাপিতৃতন্বেষাঃ স্ত্রীদেবাঃ কামকিঙ্করাঃ ॥ বিপ্ৰা লােভভয়গ্রস্ত বেদবিক্রয়জীবিন। ধনাৰ্জনার্থমভ্যস্তবিদ্যামবিমােহিতাঃ ত্যক্তস্বজাতকস্মাণ প্রায়শঃ পরবঞ্চকাঃ । ক্ষত্রিয়াশ্চ তথা বৈশ্যা স্বধর্ম ত্যাগশীলিনঃ।