পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

কৈকেয়ী। | ৫১ উঠিয়াছিল, এই সমস্ত শােক বৃত্তান্তে যখন আমরা নিজের শোকচিন্তা বিস্মৃত হই তখন ঐ সময়ের জন্য আমাদের চিত্ত শুদ্ধ হয়। আবার বলি যে কারণেই হউক মানুষ যখন আপনার শােক চিন্তা ছাড়িতে পারিল, যখন আপনার সংসার ভাবনা ত্যাগ করিয়া ভগবৎ শীলায় বে শােকের কথা আছে, তাহাত চিত্ত ডুবাইতে পারিল, তাহাতেই ক্ষের জল ফেলিতে পারিল, তখন ঐ চক্ষু জলে মানুষের নজের দুঃখ যেন ধৌত হইয়া গেল। এই সময়ে চিত্ত নম্মল হয়। এই ক্ষণ বড় শুভক্ষণ। এই শুভ মুহূর্তকে অবলম্বন করিয়া মানুষ যদি হরি হরি করে তবে সে তখন চুরির নামে রস পায়। এইরূপে পুস্তক পাঠ, অনন্তর সাধনা অভ্যাস করিতে করিতে তাহার চিত্তে আপনা হইতে দুগবং লীলার ফুরণ হয়--তখন ঐ ব্যক্তি নিজের শােক ভুলিয়া ভগবানের ভক্ত হইয়া যায়। ইহাই পায়। যে যেভাব লইয়া সাধনা করে তাহার সেই ভাবই > ভাবে মনে জাগে, বিষয়-চিন্তা দূর না করিয়া সাধনা করিতে বসিলে মন নিশ্চিন্ত হইয়া বিষয়ের সুগণ কৌশল বাহির করে। কিন্তু অধ্যাত্মশাস্ত্র পাঠ করিয়া অধ্যাত্মচন্তা বা রামায়ণাদির চরিত্র-চিন্তা দ্বারা মনকে আপন দুঃখচন্তা বা বিষয় চিন্তা ছাড়াইয়া সাধনা করিতে বসিলে মনে ভগবদ ভাব দৃঢ়রূপে আসিবেই। ইহা দ্বারা সহজেই চত্তশুদ্ধি হয়। যাহারা সঙ্গীতজ্ঞ তাঁহারা জানেন