পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? কোন পথে وو؟ বন্ধ করে দিয়ে সমগ্ৰ ছাত্রসমাজকে কুচকাওয়াজ করতে পাঠানোর রীতি আছে এবং সেই রীতি পালনও করা হয় । ভারতে আমাদের ছাত্রদের এখন করণীয় কী ? ১৯২৭ সাল থেকে দিগন্তে আসন্ন যুদ্ধের ঘনঘটা সমানে রয়েছে। বছরের পর বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এ সম্পর্কে ইতিকর্তব্য কী তা ভেবেছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত পার পর প্রস্তাবে বিধৃত হয়েছে। শেষ প্ৰস্তাবটি, যেটি এখন ঐতিহাসিক প্ৰস্তাব হয়ে দাড়িয়েছে, ১৯৩৮-এর ফেব্রুয়ারিতে হরিপুরা কংগ্ৰেসে গৃহীত হয়। সাধারণের মনে স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল যে, আশঙ্কিত সঙ্কট যখনই দেখা দেবে তখনই হরিপুরা প্ৰস্তাবটি কাৰ্যকর করা হবে । কিন্তু তা হয়নি । গত চার মাস ধরে কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি চিন্তা করে চলেছে। আসলে কিন্তু চিন্তা করার কিছুই নেই। এবং আরও ভাবনা-চিন্তা করার প্রয়োজন যদি থাকত, তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে আসন্ন পরিস্থিতির জন্যে কংগ্রেসকে পূর্বান্টুে তৈরি হবার কথা বলে বলে আমাদের যখন গলা ভেঙে যাচ্ছিল, তার আগেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করে শেষ করে দেওয়া যেত। আজ এই কংগ্ৰেসই দুনিয়ার একমাত্র মুখা রাজনৈতিক সংগঠন যা সঙ্কটের সম্মুখীন হবার মত প্রয়োজনীয় কোন আয়োজন করেনি, এবং এ তো প্ৰবীণ নেতাদেরই দয়ায়, এর থেকে কি প্ৰমাণ হয় না, রাষ্ট্রনীতিজ্ঞানে প্ৰবীণ নেতারা দেউলিয়া হয়ে গেছে ? আজকের ঘনঘটায়। আশার আলো এই যে, কংগ্রেস নেতারা যখন কী করবেন না করবেন। ভাবছেন, পাঞ্জাবের মজলিস-ই-আহরর তখন কাজের কাজ করে চলেছে । তা সত্ত্বেও এমন লোক আছে-(এবং তঁরা সবাই বাড়িতে বসে আরাম করেন-যারা ভারতীয় মুসলমান সমাজের স্বাজােত্যবোধ সম্বন্ধে বক্রোক্তি-করতে কোনরকম দ্বিধা করেন না । গত বারো মাস ধরে কিংবা তারও বেশি সময় আসন্ন সঙ্কট সম্পর্কে আমরা যা কিছু বলেছি। সবই অবান্তর বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চরমপত্র দেওয়ার কথা বলেছি, বলেছিলাম পুর্বাহুে প্ৰস্তুত থাকতে। ১৯৩৯-এর মার্চ মাসে আগরতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ত্রিপুর