পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo কোন পথে ? কথার প্রমাণ । অত্যন্ত কৌশলে এবং প্রায় সবার নজর এড়িয়ে তঁরা আমাদের যা জাতীয় দাবি, সেই পুৰ্ণস্বরাজের দাবির জায়গায় কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লির দাবি আমদানি করেছেন। হয়তো ভঁরা মনে করেন, এই মেকী কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লি পেয়ে যাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা আছে এবং যদি এতে র্তারা সফল হন, তাহলে সংঘর্ষকে তঁরা এড়িয়ে যেতে পারবেন। মনে হচ্ছে, যে কোন ফন্দিাফিকির গ্ৰহণ করতে তঁরা পিছপা নন। যদি তার দ্বারা শুধু লড়াইটাকে মুলতবী রাখা যায়। কিন্তু কিসের জন্য তঁরা সংগ্রাম এড়িয়ে যেতে চাইছেন ? সমস্ত ব্যাপারটার পিছনে আসল সত্য কী ? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া কঠিন —তবে আমার অনুমান, তঁরা ভয় পাচ্ছেন। একবার যদি দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পরিচালন ও নেতৃত্ব তঁাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে । অতএব তঁদের মতলব এই, প্ৰদেশ গুলিতে ইতিমধ্যে তঁরা যে ক্ষমতা অর্জন করেছেন তা বজায় রাপা এবং ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে কেন্দ্ৰে কিছুটা ক্ষমতা আদায়ের জন্য চেষ্টা করা । এই কারণে গুজব রটেছে যে কংগ্রেসী মন্ত্রীরা আবার ফিরে আসার তোড়জোড় করছেন । এই কারণেই কংগ্রেসকে বামপন্থীমুক্ত করার প্রয়াস। এই কারণেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির উপর। প্ৰতিশোধ চলেছে । এবং এই কারণেই অধিক সংখ্যায় সদস্য হওয়ার মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে জনতার অনুপ্ৰবেশকে যাতে প্ৰতিহত করা যায় এবং কংগ্রেসকে যাতে দক্ষিণপন্থীদের সুরক্ষিত ধটিতে পরিণত করা যায়। সেইজন্য বিস্তৃতভাবে চেষ্টা চলেছে। উপরে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন নয়। নতুন নতুন যেসব শক্তি ও কর্মী গত কয়েক বছরে দেখা দিয়েছে তাদের সঙ্গে দক্ষিণপন্থীদের কোন সংস্পৰ্শ নেই। আমাদের জিজ্ঞান্তি, কিষাণ আন্দোলনের সঙ্গে, শ্রমিকশ্রেণী আন্দোলনের সঙ্গে, ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে, যুব আন্দোলনের সঙ্গে এবং দেশের নানা স্থানের বৈপ্লবিক ও প্ৰগতিশীল আন্দোলনগুলির সঙ্গে তঁদের কতটুকু যোগযোগ আছে ? এ ছাড়া ভঁরা আমাদের মুসলিম দেশপ্রেমিকদের ও