পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vsts gateřs 25 SOS দেশীয় রাজ্যের প্রজাদের আস্থা হারিয়েছেন। অতএব এই আশঙ্কা তঁাদের মনে গেথে আছে যে, যদি সংগ্রাম শুরু হয়, আন্দোলনের উপর তঁদের কর্তৃত্ব থাকবে না এবং শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের উপর কর্তৃত্বও খোয়াতে হতে পারে । কিন্তু এই যুক্তিতে এমন একটা ভুল আছে যা দক্ষিণপন্থীদের পক্ষে মারাত্মক হয়ে দাড়াতে পারে । এই ভয় ও আশঙ্কার দরুন যদি আঁর্তারা লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েন। তবে সেই পিছিয়ে-পড়া থেকেই প্ৰমাণ হবে তঁরা চলার শক্তি হারিয়েছেন । এই প্রসঙ্গে আমাদের দক্ষিণপন্থী কৌশল কী তা বিবেচনা করে দেখতে হয়। চাপে পড়ে হয়তো তঁরা তাদের ব্যাপক প্রয়োগকৌশল বদলাতে পারেন এবং সত্যিই সংগ্রাম শুরু করতে পারেন । কিন্তু তাতে আমাদের সমস্যার যে সমাধান হয়ে যাবে তা ভাবা ঠিক হবে না । যদি ওইরকম অবস্থার চাপে সংগ্রাম শুরু হয়, তাহলে দক্ষিণপন্থীদের মতলব থাকবে কোন-না-কোন উপায়ে মাঝপথে সেই সংগ্রামকে বন্ধ করে দেওয়া । অতএব সেক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং যাতে ১৯১২ সালের চৌরিচৌর ঘটনার মত আরেকটি ঘটনা না ঘটে, ১৯৩২ সালের হরিজন আন্দোলনের মত আরেকবার বিপথযাত্ৰা যাতে না করতে হয়, অথবা ১৯৩১-এর গান্ধী-আরউইন চুক্তির মত আরেকটি চুক্তি যাতে না হয়। সেইদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সতর্ক দৃষ্টির অভাবে দক্ষিণপন্থীরা যে সংগ্রাম শুরু করবে তার পরিণতি হবে চরম বিপৰ্যয়ে । অতএব বামপন্থীদের পক্ষে সবচেয়ে সেরা পন্থা হবে সুস্পষ্টভাবে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া, কী উদ্দেশ্য এবং কোন মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তারা সংগ্রামে যোগদান করবে, সেই সংগ্ৰাম বামপন্থীরাই শুরু করুক বা দক্ষিণপন্থীরাই শুরু করুক । কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্লি সম্পর্কে এখানে কিছু বলা দরকার। ক্ষমতার হস্তান্তর হবার পর সরকার যে কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্রি আহবান করে। তাই যথার্থ কনস্টিটিউয়েণ্ট ন্যাশনাল এসেমব্লি। যে এসেমব্লি সাম্রাজ্যবাদী সরকার ও সাম্রাজ্যবাদী নির্বাচকমণ্ডলীর আহবানে এবং