পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামগড় ' SSS ১৯৩৯-এর জুন মাসে বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সভায় যে মুহুর্তে তার শক্তি প্ৰকাশ পেল, সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণপন্থীদের আক্রমণ শুক হল-৯ই জুলাইয়ের প্রতিবাদ আক্রমণের প্রথম লক্ষ্য হল। সেই থেকে বামপন্থী সংহতি কমিটি থেকে কিছু কিছু বামপন্থী কর্মী নিয়মিতভাবে খসে যাচ্ছে । বামপন্থীদের আয়ত্তে আনার জন্য ঝানু দক্ষিণপন্থী নেতারা দ্বৈত নীতি অনুসরণ করে চলেছে। যাদের নরম মনোভাব, যাদের “যুক্তি' দিয়ে বোঝানো যায়, তাদের নিয়মিতভাবে তোষামোদ করা হচ্ছে । যারা কড়া ধাতের তাদের উপর নৃশংস ব্যবহার করা হচ্ছে । এর ফলে বামপন্থীদের দলগুলি ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। বামপন্থীদের অবস্থা আরও শোচনীয় করে তোলার জন্য কয়েকটি প্রদেশে অব্যাতীতভাবে সরকারী নিৰ্যাতন চালানো হচ্ছে এবং কংগ্রেসী আমলেই প্ৰথমে তা চালানো হয় । বামপন্থী সংহতি একান্ত আর সম্ভব কিনা সে সম্পর্কে আজি मgन्ाछ खत्राभCछ । বামপন্থী সংহতি এই দুটির যে কোন একটি উপায়ে সম্ভব। প্ৰথম উপায় আমরা ইতিমধ্যে যা গ্ৰহণ করেছি, যথা, নূনতম সাধারণ এক কর্মপন্থার ভিত্তিতে বামপন্থীদের এক সাধারণ মঞ্চে সমবেত করা । এই উপায় যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আরও একটি উপায় এখনও আমাদের সামনে খোলা রয়েছে । গত কয়েক মাসের ঘটনাবলী বামপন্থীদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে--নিদারুণ দুৰ্যোগ তাদের অতিক্রম করতে হয়েছে । এর ফলে কিছু বাদ গেলেও, সবাই যায়নি। সাহসের সঙ্গে যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা প্ৰমাণ করেছে যে তারা খাটি বামপন্থী, এখন বামপন্থী সংহতি বলতে তাদের সংহতি বোঝাবে। প্ৰাকৃতিক জগতে প্রায়ই বন্যার আগে সব নদী মজে যায়। দলের শক্তি হ্রাস পাওয়া অনেক সময় অভাবিত শক্তিবৃদ্ধির পূর্বাভাস। এদেশে বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই হবে। বিগত সংগ্রামে যারা বিশ্বাস হারায়নি তারা আমাদের সঙ্গে একমত হবে যে, সামনের অমানিশার অন্ধকার পার হলেই দেখা দেবে অরুণ উষার আলো ।