পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांषांफु SSNS) সময়ের সঙ্গে তাল রেখে চলেছি-আমরাই তাদের ভাবনা ভাবছি, তাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করছি । সরকারের সঙ্গে একটা আপস হবার জোর গুজব আকাশেবাতাসে ছড়িয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে। পরের মার্চে রামগড়ে কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশন বসবার আগেই একটা মীমাংসায় পৌছবার প্রয়াস করা হবে। অন্যেরা বলছে রামগড় কংগ্রেস কংগ্রেসের কার্যকরী সংস্থার উপর সম্পূর্ণ ক্ষমতা ন্যস্ত করবে এবং আপসের চুড়ান্ত চেষ্টা করা হবে মার্চের পরে। ভারতের তথাকথিত ইংরেজ বন্ধুরা দক্ষিণপন্থী নেতাদের পরামর্শ দিয়ে চলেছে যেন তারা পরের মার্চ পৰ্যন্ত অপেক্ষা করে, তখন একটা চুক্তি সম্ভব হতে পারে। দক্ষিণপন্থীদের মতলবে রামগড় কংগ্রেস যে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাছাড়া বাংলাকে, সত্যিকার বাংলাকে রামগড় কংগ্রেস থেকে বাদ দেবার জন্য যে দৃঢ় সংকল্প নিৰ্মম প্ৰয়াস চলেছে তার আর কী অর্থ করা যেতে পারে ? দক্ষিণপন্থীরা যে পরিকল্পনা স্থির করেছে রামগড়ে তা অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে এবং ৫৪৪ জন ডেলিগেটের এক বাহিনী-সমন্বিত বাংলা কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের কাছে অসুবিধাজনক হয়ে উঠতে পারে। অতএব যেনতেনপ্রকারেণ বাংলাকে বাদ দিতেই হবে । কিন্তু তা অত সহজ নয়। রামগড় কংগ্রেস থেকে বাংলাকে বাদ দিতে পার, কিন্তু ভারতের গণজীবন থেকে তাকে বাদ দিতে পারবে না। বামপন্থীদের দিক থেকে রামগড়ের তেমন কিছু গুরুত্ব নাও থাকতে পারে।--তবে ভারতের ইতিহাসে মার্চ মাসটার গুরুত্ব থেকে যাবে । অতএব এই মাসে বামপন্থীরা একত্রিত হয়ে দক্ষিণপন্থী নেতাদের বিপ্লববিরোধী ও আপসমূলক কলাকৌশলকে বাধা দেবার জন্য যেন প্রস্তুত হয়। এই প্রসঙ্গে বিহারের কোন জায়গায় রামগড় কংগ্রেস যখন হবে সেই সময়েই সারা ভারতে একটা কনফারেন্স করা দরকায়। যারা এই কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তা সাফল্যমণ্ডিত করবে। তাদের মধ্যে এমন বামপন্থীরাও থাকবে যায় কংগ্রেস থেকে عوا