পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बश्कीब्र एक S&\ej কেবলমাত্র আমাদের অসহযোগিতারই সম্মুখীন হতে হয় না, মহাত্মা গান্ধীর মত কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও আমাদের একথা শুনতে হয় যে, নিকট ভবিষ্যতে জাতীয় সংগ্রামের কথা উঠতেই ८. | এইরকম জটিল অবস্থায় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু বোঝাতে চাইলেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক সঙ্কট ঘনীভূত হয়ে আসছে আভ্যন্তরিক মতবিরোধ সত্ত্বেও আমার পক্ষে কংগ্রেসের ভিতরে একটা নতুন সংগঠন গড়ে তোলা কিংবা পদত্যাগ করা-কিছুই উচিত হবে না । আমার যুক্তি ছিল, যেহেতু নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সঙ্কট অনিবাৰ্য এবং সেই সঙ্কটের উপযোগী কোন ব্যবস্থা কংগ্রেস হাই কমাণ্ড গ্ৰহণ করবে। এরকম আশা করাই দুরাশা, অতএব সময় নষ্ট না করে। আমাদের নিজস্ব সংগঠন আমাদের গড়ে তোলাই বিধেয় । ওয়াকিং কমিটি যদি ব্যর্থ হয় তবুও এই সংগঠনের দরুন দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে সমর্থ হব। ফরওয়ার্ড ব্লক ও বামপন্থী সংহতি কমিটি এইভাবেই সৃষ্টি হল । এবারে ১৯৩৯-এর ৯ই জুলাই প্রতিবাদ জ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করছি। বোম্বাইয়ে ১৯৩৯ সালের জুন মাসের বৈঠকে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির যে দুটি আপত্তিকর প্রস্তাব গৃহীত হয়, তার প্রতিবাদে ভারতের সর্বত্র বামপন্থী সংহতি কমিটির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্ৰস্তাব দুটির একটিতে আইন অমান্য করার ব্যক্তিগত অধিকার কংগ্রেস কর্মীদের কাছ থেকে কাৰ্যত কেড়ে নেওয়া হয়। অপর প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিগুলি থেকে। সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাগুলিকে অধিকতর শক্তিশালী করে তোলা । আমার নেতৃত্বে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি ৯ই জুলাইয়ের প্ৰতিবাদে অংশগ্ৰহণ করে। বি. পি. সি. সি.-র ( বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির ) উপর আক্রমণের এই হল সূত্রপাত। ওয়াকিং কমিটির এক হুকুমে বি. পি. সি. সি.-র প্রেসিডেন্ট পদ থেকে আমাকে অপসারিত করা