পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀ8 কোন পথে ? হল। বি. পি. সি. সি. এই হুকুম মাথা পেতে নেয়নি, তার ফলে দীর্ঘ বাগবিতণ্ডা শুরু হল । এই বিতর্ক চলাকালে স্পষ্ট বোঝা গেল, বি, পি. সি. সি.-র সংখ্যাগরিষ্ঠ একটা অংশ হাই কমাণ্ডের ভ্ৰকুটি সত্ত্বেও আমার সঙ্গেই থাকবে। এবং এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বামপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ । LBeMMqD BDD BBD DiB DDDDB BBBD BBS LS DDDDS সি. সি.-তে অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিক্ৰমেও যদি এমন প্ৰস্তাব গৃহীত হয় যা নীতির দিক থেকে আপত্তিকর, সংখ্যালঘু তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে দ্বিধা করবে না । অর্থাৎ প্রদেশে সরকারী দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের জোরে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি যেই সরকারী ক্ষমতা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল অমনি সংখ্যালঘু বিরুদ্ধবাদীদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল, এইরকম অবাধে যথেচ্ছাচার চালিয়ে যাওয়া দক্ষিণপন্থীদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না । দক্ষিণপন্থী নেতারা সুদূর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিল, এখন থেকে সংখ্যালঘুদের বশ্যতা ও নিয়মশৃঙ্খলা স্বীকার করতে বাধ্য করা হবে, যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠের জোরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে শেষ পৰ্যন্ত যখন আপসে আসা যাবে তখন যেন বিরুদ্ধমতাবলম্বী বামপন্থীদের কোন বেসুরো কণ্ঠস্বর না শোনা যায়। প্রকৃতপক্ষে এই কারণেই প্রেসিডেন্টের পদে আমার পুনর্নির্বাচনকে প্রচণ্ডভাবে বাধা 6ा'qद्मा श्रद्मछिन । দক্ষিণপন্থীদের উদ্বেগের আরও একটা কারণ ছিল । বিহারের রামগড়ে পরবর্তী কংগ্ৰেসটা তারা নিঝঙ্কাটে কাটাতে চেয়েছিল এবং ১৯৩৯-এর মার্চে ত্রিপুরি কংগ্রেসের অনিশ্চিত পরিবেশ যাতে দেখা না দেয় সেইজন্য তারা উদগ্রীব ছিল। তারা স্পষ্টই বুঝেছিল যে বাংলা থেকে রামগড় কংগ্ৰেসে বামপন্থী ডেলিগেটের বেশ বড় একটা দল, সম্ভবত ৪৫০ জনকে, পাঠানো হবে। যে কোন উপায়ে তা পণ্ড করতে হবে । অন্যান্য প্রদেশের কংগ্রেস কাৰ্যকলাপ সম্পর্কে যারা অবহিত নয়।