পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাম্প্রদায়িক ঐক্যের দিকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৪০, ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশন আগত প্ৰায়। রামগড়ে কংগ্রেস অধিবেশনে কী হয় না হয় তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। বাংলাকে জোর করে যে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে এবং গত এক বছর ধরে সারা দেশে কংগ্রেস হাই কমাণ্ড বামপন্থীদের বিরুদ্ধে যে আক্রমণ চালিয়ে এসেছে তার দয়ায় ওই কংগ্রেসে বামপন্থীদের সংখ্যা হবে অত্যন্ত নগণ্য । বাংলার যে সব ডেলিগেট স্বাভাবিক অবস্থায় কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনে যোগদান করতে - পারতেন, এই বাধ্যতামূলক অনুপস্থিতিতে তঁদের আক্ষেপ করার কারণ নেই। রামগড়ে যদি তঁরা পুরোপুরি শক্তিতে উপস্থিত হতেন, তবুও তঁরা কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে কিছুমাত্র প্রভাবিত করতে পারতেন না । রামগড় কংগ্রেস নিয়ে বামপন্থীরা যদি মাখা না ঘামায় তাহলে দুনিয়া রসাতলে যাবে না । প্ৰকৃতপক্ষে যদি তারা রামগড় কংগ্রেসকে দক্ষিণপন্থীদের কংগ্ৰেসে পরিণত করতে পারে, তাহলেই বরঞ্চ ভাল হবে। এই বছরে, কংগ্রেসের ভিতরে যা হবে তার থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে কংগ্রেস প্যাণ্ডেলের বাইরে । বিহার প্রদেশিক কিষাণ সভা বিরাট এক কিষাণ সমাবেশের ডাক দিয়েছে । আশেপাশের জেলা থেকে কমপক্ষে দু লক্ষ কিষাণ তাতে যোগদান করবে। কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশন যে সময় অনুষ্ঠিত হবে প্ৰায় একই সময়ে রামগড়ে নিখিল ভারত আপসবিরোধী সম্মেলনও বসবে। এই সম্মেলন যদি সাফল্যমণ্ডিত হয়, রাজনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকে তাহলে তা কংগ্রেসকেও মান করে দিতে পারে। যাই হোক না কেন, তার ফলে কংগ্রেস হাই কমাণ্ড ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে আপসের যা কিছু কথাবার্তা, যা কিছু প্ৰয়াস চলছে, সে সবেয়া চিরতরে সমাপ্তি ঘটাতে পারে। 赣