পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জার্মানি সম্পর্কে একটি কথা ১৯৪০-এর ১৩ই মার্চ ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । মনে হয়। আধুনিক যুদ্ধবিগ্ৰহে গতিবেগ ও চঞ্চলত অত্যন্ত গুরুপূর্ণ অঙ্গ । প্ৰাচীন এক প্রবাদে বলে, “শুভারম্ভ মানেই অর্ধেক নিম্পন্ন ।” একালে একে বদলিয়ে বলা উচিত, “ক্রেতারতম্ভ মানেই অর্ধেক নিম্পন্ন ।” নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে জার্মানি এই উপদেশ পালন করে চলেছে। রাইনল্যাণ্ডকে সামরিক দখল করতে, অথবা চেকোস্লোভাকিয়াকে আত্মসাৎ করতে, অথবা পোল্যাণ্ড আক্রমণে, অথবা একেবারে সম্প্রতি “স্কাণ্ডিনাভিয়ায় অনুপ্রবেশে, জার্মানি সর্বদা বিদ্যুৎগতিতে কাজ করেছে। শত্রুর নার্ভকেন্দ্ৰে হঠাৎ আক্রমণ চালিয়ে শত্রু ভাল করে বোঝবার আগেই সে শক্রিকে অভিভূত ও অকৰ্মণ্য করে দিয়েছে। এইরকম আকস্মিক আক্রমণকৌশলের পিছনে দীর্ঘকালব্যাপী সযত্ন পরিকল্পনা এবং তদনুযায়ী উপযুক্ত প্ৰস্তুতি থাকে তা সহজেই বোঝা যায় । এইপ্ৰকার বিশদ পরিকল্পনা রচনায় এবং সমত্ব প্ৰস্তুতিতে নাৎসী জার্মানির দক্ষতা অতুলনীয়। বিশদ পরিকল্পনা ও উপযুক্ত প্ৰস্তুতির কথা বাদ দিলেও সময়সূচী অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট কাৰ্যক্রম পালন করতে হলে কর্মশক্তি ও ৰল— বীর্সের দরকার হয় । এইসব গুণাবলী নাৎসীদের নিশ্চয় আছে । তাদের দ্রুতগতি ও সচলতার দরুন বিনা ব্যতিক্রমে তারা শক্ৰকে অপ্ৰস্তুত অবস্থায় পেয়েছে এবং তাকে পযুদস্ত করতে তাদের বিশেষ বেগ cPCVS fa যে ভাবে চেকোস্লোভাকিয়াকে পযুদস্ত করে ভুক্তার্মানির অন্তর্ভুক্ত করা হল তাতে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিল। তিন সপ্তাহের মধ্যে পোলাগুকে জয় করে নেওয়া আরও বিস্ময়কর, কারণ আধুনিক প্ৰয়োজনীয়ু অস্ত্ৰসজায় সজিত শক্তিশালী এক সেনাবাহিনী আছে