পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gr কোন পথে ? স্বীকার করল এবং সব কিছু শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হল। সেইদিন থেকে প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি ও তাদের সমর্থকরা বাংলা দেশের সর্বত্র অৰ্ভিনান্সকে অমান্য করেছে। তার ফলে সেপ্টেম্বরের আগে যে অবস্থা ছিল আপনিই তা ফিরে এল এবং যুদ্ধ বান্ধবার আগে এই পরাধীন দেশে যতটুকু নাগরিক স্বাধীনতার অস্তিত্ব ছিল জনগণ তা পুনরুদ্ধার করল। বি. পি. সি. সি.র সাফল্যের পরিমাণ ছিল অভাবিত ও অভূতপূর্ব। উল্লিখিত অর্ডিনান্স বলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা তুলনায় ছিল খুবই কম। হয়ত এই কারণেই বি. পি. সি. সি. যে সাফল্য অর্জন করেছিল তা যথেষ্ট হলেও চমকপ্ৰদ হয়নি । গত জানুয়ারি থেকে বি. পি. সি. সি. এইভাবে কাজ করে চলেছিল । কিন্তু গান্ধীবাদীরা ও নব্য গান্ধীবাদীরা অর্থাৎ আমাদের সু্যাশনাল ফ্রন্টওয়ালারা কী করছিল ? খবরে প্রকাশ হুগলী জেলার আরামবাগ মহকুমায় গান্ধীবাদীদের একটা কনফারেন্স সরকারী কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ করে এবং স্থানীয় গান্ধীবাদীরা সেই আদেশ অমান্য করার চিন্তাও করে না । নদীয়া জেলায় নব্য গান্ধীবাদীরা একটা সভার অনুষ্ঠান করতে চায়। কিন্তু সরকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যখন অনুমতি পাওয়া গেল না। তখন তারা সে পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে। প্ৰমাণ দিল বিপদে গা বঁচিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। মে দিবসে সরকারী অনুমতি নিয়ে প্ৰাদেশিক ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস কলিকাতায় এক সমাবেশের ব্যবস্থা করে। কিন্তু ঐ দিনই বি. পি. সি. সি. যে সভা ও সমাবেশের আয়োজন করে সরকারী কর্তৃপক্ষকে তা জানানোই হয়নি । মে মাসে বাংলায় নতুন এক উদ্যমের প্রয়োজন ছিল। নাগরিক স্বাধীনতা পুনুরুন্ধারের জন্য সংগ্রাম সাফল্যমণ্ডিত হয়। এড-হক কমিটি ( কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সৃষ্ট ), হিন্দুমহাসভা এবং বেইমান সংবাদপত্র “অমৃতবাজার পত্রিকা” ও “যুগান্তর”-এর মত প্ৰতিক্রিয়াশ্ৰীলদের তরফ থেকে বি. পি. সি. সি.কে হেয় করার প্রয়াস নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। জনসাধারণ সাগ্রহে নতুন পথের দিশার জন্য প্রতীক্ষা কয়ছিল ।