পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ কি ন্যায়সঙ্গত ? ৮ই জুন, ১৯৪০ ফরওয়ার্ড ব্লক-এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয়। শয়তানও যদি তার প্রাপ্য পাবার অধিকারী হয়, ফরওয়ার্ড ব্লকই বা হবে না কেন ? আমরা এটা করিনি। ওটা করতে পারিনি বলে আমাদের দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী বন্ধুরা ক্রমাগত আমাদের ত্রুটি বার করে চলেছে। কিন্তু তঁরা কি একবারও এটুকু ভেবে দেখেছেন কী প্রচণ্ড প্রতিকূলতার সঙ্গে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে ? একবারও কি তঁরা আমাদের সাহায্য করতে নেমে এসেছেন ? তা করা দূরের কথা, বরঞ্চ আমাদের কাজকর্ম যাতে পাণ্ড হয় তারই জন্য তঁরা উঠে-পড়ে লেগেছেন। তঁদের যদি যথার্থ অন্তর্ঘাতী কাজের জন্য দায়ী করি। তাহলে আমরা অন্যায়ও করব না, বাড়াবাড়িও করব না । জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার এবং তা তীব্র ও ব্যাপক করার দুরূহ কর্তব্যসাধনে গান্ধীবাদী বা র্যাডিকাল লীগ বা কংগ্রেস সোস্যালিস্ট বা ন্যাশনাল ফ্রন্টবাদী-কারও কাছ থেকে আমরা কোন সাহায্য, কোন সহানুভূতি পাইনি। অধ্যাপক রঙ্গ ও স্বামী সহজানন্দের কিষাণসভা এবং ফরওয়ার্ড ব্লককে সম্পূর্ণ নিজস্ব সহায়সম্বলের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। দক্ষিণের ও বামের উল্লিখিত দলগুলি অন্ততপক্ষে যদি নিরপেক্ষও থাকত, তাহলে তাই আমরা সৌভাগা বলে গণ্য করতাম। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যা পেয়েছি তা সুচিন্তিত, শক্ৰতা । সংগ্ৰাম শুরু করার আগে আমাদের নামে প্রায়ই অভিযোগ করা হয়েছে আমরা কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের সমালোচনা করে থাকি এবং নিজেদের তরফ থেকে কিছুই করি না । যখন সংগ্রাম শুরু হল এই অভিযোগ পরিণত হল বিদ্রুপে, সংগ্রামকে ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেওয়া হল এবং জনসাধারণকে বলা হল গান্ধীবাদীদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এ সংগ্রামের ফল কিছুই হবে না। কিন্তু