পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ কি অন্যায়সঙ্গত ? ७१\© BLBDDD BBDD BBBD BDLB BDB BDBB S DDSDD DBLDBu DBS DD নিখিল ভারত ওয়ার্কিং কমিটির আটজন সদস্য কারারুদ্ধ। দেশের বিভিন্ন অংশের অসংখ্য বন্ধু ও সহকর্মী আজ কারা প্রাচীরের অন্তরালে। বিহারে, যুক্তপ্রদেশে আন্দোলন পুরোদমে চলেছে। বাংলাদেশে নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে সংগ্রামের প্রথম পৰ্যায়ে দেখা গেল বাংলা সরকার। কাৰ্যত নতি স্বীকার করেছে । আমাদের সংগ্রাম শুরু করার পর থেকে যুদ্ধকালীন অর্ডিনান্সের অনেকগুলিকে অকাৰ্যকর করে দেওয়া হয়েছে এবং তার ফলে ১৯৩৯-এর সেপ্টেম্বরের আগে দেশের যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থার বেশ কিছুটা ফিরিয়ে আনা গেছে। গত ২৫শে ও ২৬শে মে প্ৰাদেশিক কনফারেন্সের ঢাকা অধিবেশন থেকে অনুপ্রেরণাপূর্ণ নির্দেশ পাবার পর বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি এখন সংগ্রামের দ্বিতীয় পৰ্যায়ের জন্য প্ৰস্তুত হচ্ছে। ভারতের মত বিরাট দেশে অহিংস গণ-সংগ্রাম গড়ে তুলতে সর্বদাই সময় লাগে এবং তাতে যে প্ৰয়াস দরকার হয় তা নেহাত কম নয়। কিন্তু এই কাজ হাজার গুণ কঠিন হয়ে ওঠে যখন কেবলমাত্র দক্ষিণপন্থীরা নয়। তথাকথিত বামপন্থীরাও সুচিন্তিতভাবে শক্ৰতা করে। চলে। এর পরেও আছে অ-কংগ্রেসী ও কংগ্রেসবিরোধী সব সংগঠন, যাদের বিরোধিতার সম্মুখীন। আমাদের হতে হচ্ছে এবং মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবং সবার উপরে রয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জগদ্দল, এবং সেই সঙ্গে তার ইংরেজ ও ভারতীয় মিত্ররা। তার সঙ্গেও আমাদের লড়াই চলেছে। যে বাধা আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে এবং যে প্রচণ্ড প্রতিকূলতার সঙ্গে আমাদের যুঝতে হয়েছে, তা ভাবলে, আমরা যা করেছি তা মোটেই অকিঞ্চিৎকর নয়। শক্রতা, বিদ্রুপ, পরিহাস সত্ত্বেও যত দিন যাবে আমাদের আন্দোলনের শক্তি ও আয়তন তত বৃদ্ধি পাবে। যারা আমাদের সাহায্য করবে না। তারা অন্তত দয়া করে যেন চুপ করে থাকে। কাৰ্যক্ষেত্রে আমাদের প্রয়াসের ফল যাই হোক না কেন, অথবা ব্যক্তি হিসেবে আমরা যতই অযোগ্য ইই না কেন, আমাদের আদর্শ যে উন্নত এবং আমাদের প্রচেষ্টা যে