পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ই আগস্ট, ১৯৩৯-এর ‘ফরওয়ার্ড ব্লকে’ প্ৰকাশিত স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । কয়েকটি ছোটখাটো খণ্ডযুদ্ধের পর মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বামপন্থীরা ১৯১০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দখল করে নিতে সক্ষম হয়। তাই থেকেই মিস্টার জিন্না, মিস্টার বি. সি. পাল, ‘মিস্টার বি. চক্রবতাঁর মত প্ৰাক্তন নেতারা কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যাবার সঙ্কেত পান। বামপন্থীরা কংগ্রেসের প্রধান দল হয়ে দাড়াল এবং কিছুদিন তারা সংখ্যায় সর্বাধিক হয়ে রইল । ১৯২২ সালে আইন অমান্য আন্দোলন স্থগিত রাখার ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দিল। এবং আইন সভাতে লড়াই চালানোর প্রশ্নে এই দল দুটি উপদলে ভাগ হয়ে গেলা-স্বরাজবাদী এবং সনাতনপন্থী (নোচেঞ্জার) । কিছুকাল পরে আইন সভায় লড়াই সম্প্রসারিত করার স্বরাজবাদী পরিকল্পনা কংগ্রেস গ্ৰহণ করায় এই বিরোধ মিটে যায়। ১৯২৮ সালে নেহরু কমিটি রিপোর্ট প্ৰকাশিত হয় । সেই রিপোর্টে অধিকাংশ সদস্য ডমিনিয়ন স্টেটাসের ভিত্তিতে ভারতের একটি গঠনতন্ত্রের সুপারিশ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগরূপে এক বামপন্থী দলের আবির্ভাব ঘটে । ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে কলকাতায় কংগ্রেসের যে বার্ষিক অধিবেশন হয় তাতে লীগের সদস্যরা কংগ্রেসকে তাদের স্বমতে আনতে চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয় । লীগের সদস্যরা চেয়েছিল কংগ্রেস তার আদর্শের পরিবর্তন করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করুক যে কংগ্রেসের লক্ষ্য-স্বাধীনতা । কংগ্রেসের মূল সংস্থা থেকে এই প্ৰস্তাবের বিরোধিতা করা হয়েছিল এবং তার নেতৃত্ব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এক বছর ধরে ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে। শেষপৰ্যন্ত, ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে মহাত্মাজীর অনুরোধে স্বাধীনতাকে তায় লক্ষ্য হিসেবে গ্ৰহণ করা হয় ।