পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু দীর্ঘজীবী হোন ১৫ই জুন, ১৯৪০, ফরওয়ার্ড ব্লক-এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। আমাদের এই ধরাধাম ত্যাগ করে যাবার পর দীর্ঘ পনেরো বছর অতিবাহিত হয়েছে । তিনি তঁর স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হতে দেখে যেতে পারেননি, কিন্তু তখনকার মত কিছু কিছু পরিকল্পনায় তিনি সাফল্যলাভ করেছিলেন । ঠিক যে সময় জনসাধারণ তঁর কাছ থেকে আরও বড় কিছু আশা করছিল, তখনই মৃত্যুর নির্মম হাত তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। তিনি তঁরা দেশবাসীর অকৃপণ ভালবাসা লাভ করেছিলেন । তারা ভঁৰ্তাকে তাদের হৃদয়াসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সেইজন্য র্তার তিরোধানের শোক যেমন সর্বাত্মক তেমনিই আন্তরিক হয়েছিল । তঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত, তবু আমাদের একথা ভোলা উচিত হবে না। যে, পরম গৌরবের মধ্যে তঁর জীবনাবসান হয়েছে। সেইসব হতভাগাদের একজন তিনি ছিলেন না। যারা জীবনের মহত্ত্বের কাল অতিক্রম করেও বেঁচে থাকে, যারা জীবনের ভাটার টানের পরেও টিকে থেকে শেষ পৰ্যন্ত প্ৰতিক্রিয়াপন্থী হয়ে দাড়ায় । আজ, তার মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাককালে আমাদের মনে একটি চিন্তাই জাগছে-“হে দেশবন্ধু! ঝঞ্চাঙ্গুদ্ধি এই দুঃসময়ে তোমাকে ভারতের দরকার ।" আদর্শবাদ ও বাস্তববাদের সেই দুলভ সমন্বয় যা নেতৃত্ব গঠনের মূল উপকরণ, এবং তঁর অসামান্যতার যা গোপন রহস্য, তার প্রয়োজন। এখন আমরা যত বোধ করছি, আগে কখনও তত বোধ করিনি , আমরা সেই উদার ভালবাসা চাই যা তারেক জনসাধারণের বন্ধু করেছিল এবং মুসলমান ও অনগ্রসর শ্রেণীর লোকদের তীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এনেছিল । আমরা চাই সেই কর্মোন্তিম যা তাকে বিশ্রাম, নিতে দেয়নি এবং