পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Srtir কোন পথে ? দিচ্ছে আমাদের এমন কিছুই করা উচিত হবে না যাতে কংগ্রেসের মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। আমি জবাবে বলি, যেহেতু নিকট ভবিষ্যতে যুদ্ধ অনিবাৰ্য, এইজন্যই তো আরও বেশী বামপন্থীদের আগে থেকে প্ৰস্তুত ও সংগঠিত থাকা উচিত যাতে যুদ্ধপরিস্থিতিতে দক্ষিণপন্থীরা যদি এগিয়ে যেতে নারাজ হয়, আমরা নিজেরাই অন্তত কিছু একটা করতে পারি। দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য এত মৌলিক হয়ে উঠল যে একটা ভাঙন, তা স্থায়ীই হোক, সাময়িক হোক, অপরিহার্য হল । অবস্থা যখন এইরকম, বাইরের অথবা আন্তর্জাতিক সঙ্কট আমাদের আচ্ছন্ন করার আগে আভ্যন্তরিক সঙ্কটের সম্মুখীন হওয়া এবং তাকে অতিক্রম করা বাঞ্ছনীয় ছিল। আমি একথাও বলেছিলাম যে, যদি আমি আমার বন্ধুর উপদেশ মেনে নিয়ে আপাতত চুপ করে থাকি, তাহলে আন্তর্জাতিক সঙ্কট যখন দেখা দেবে তখন অবস্থার পরিণতি আরও ঘোরতর হবে। সেই সঙ্কটে আমরা দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে কখনোই একমত হতে পারব না । কিন্তু তখন যদি আমরা নিজেদের মতে চলতে চেষ্টা করি। অনেকেই আমাদের দোষ দেবে যে আমরা ভাঙন ধারাচ্ছি। তাছাড়াও, স্বাধীনভাবে আমরা যদি চলতেও চাই, আমাদের পিছনে তখন নির্ভর করার মত কোন সংগঠনও থাকবে না । অতএব, আমার বন্ধুর যুক্তিতে আমার বক্তব্যই জোরদার হয়েছিল । বিগত বারো মাসের দিকে তাকিয়ে আমরা কি দাবি করতে পারি না যে, আমাদের নীতি ও কর্মপন্থা যে সঠিক ঘটনাবলী থেকেই তা প্ৰমাণিত হয়েছে ? স্বামী সহজানন্দ ও অধ্যাপক রঙ্গের কিষাণ সভা, কমরেড যান্ত্ৰিক ইত্যাদি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়া আজি দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে দাড়াবার মত আর কে আছে ? ১৯৩৯-এর জুন মাসে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠনের পর যে বামপন্থী সংহতি কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা এখন ভেঙে গেছে । রায়পন্থীরা ( অথবা র্যাডিকাল লীগ দলীয়রা ), কংগ্রেস সোশ্যালিস্টরা এবং কমিউনিস্টরা (অথরা ন্যাশনাল ফ্ৰণ্টপন্থীরা) একে একে বামপন্থী-সংহতি কমিটি ত্যাগ করেছে এবং