পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stro কোন পথে ? মৌলিক এই দুর্বলতার ফলেই প্রচারের ক্ষেত্রে ব্রিটেনকে “মোক্ষামভাবে মার খেতে হয়েছে।” ডেইলি মেল সংবাদপত্রের মতে যা ঘটেছে তা এই। মার্চের শেষের দিকে ওই সংবাদপত্র লিখছে যে, জার্মানি থেকে বেতারে যা প্রচার চালানো হয় তা “কেবলমাত্র ব্রিটেনের অসামরিক নাগরিকদেরই প্রভাবিত করেনি, তা সশস্ত্র বাহিনীকেও প্রভাবিত করেছে।” ওই সংবাদপত্রের দৃঢ় অভিমত “গোয়েবলস। সবাইকে হারিয়েছে।” কিন্তু একটা বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা ততটা আগ্রহী নই যতটা কর্মের মূল নীতি সম্পর্কে। এবং আমাদের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতির জন্য আমাদের যে দাবি, মূল প্রশ্নগুলিকে অস্পষ্ট করে এবং “বিশ্বাসঘাতক” বলে আওয়াজ তুলে তা আদায় করা থেকে আমাদের নিরস্ত করা যাবে না। সুচতুর সাম্রাজ্যবাদী প্রচারে আমরা বহুকাল যাবৎ প্ৰতারিত হয়ে আসছি । আন্তর্জাতিক এই পরিবর্তনের প্রবাহে আমাদের স্থান কোথায় নিজেদের এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করে আমরা পারি না । মিত্ৰশক্তির রাষ্ট্রনীতিবিদ ও রাষ্ট্রকুশলীদের বিষন্ন চিন্তাধারাকে অনুসরণ করে আমরা নিজেদের এ প্রশ্ন না করে পারি না, ব্রিটিশ প্রতিরোধ। যদি ভেঙে পড়ে তখন আমাদের কী কর্তব্য হবে ? এই বিপর্যয় মোটেই অসম্ভব নয়। এমন কি প্ৰধানমন্ত্রী মিস্টার চাৰ্চিলও ব্রিটেনের পরাজয়ের কথা ভেবে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন । প্রধানমন্ত্রী রেন এখন যেভাবে কথা বলছেন সেইমত তিনি অনেক আগেই নিজেকে ব্যক্তি করেছেন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য সাম্রাজ্যের সুদূর প্রান্তে তিনি পাড়ি দিতে চান । মনে হয় আমাদের রাষ্ট্রনীতি-বিশারদদের মধ্যে কেউ কেউ একটা স্বপ্নের ঘোরে রয়েছেন, তঁরা স্বপ্ন দেখছেন ভারতকে ডিক্টেটারদের বাহিনীর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের দুর্গে পর্যবসিত করা হয়েছে। কী অদ্ভূত কল্পনা । ইংলিশ প্ৰণালীর ফ্রান্সের দিককার উপকূলের প্রায় সবটাই জার্মানদের অধিকারে । তার ফলে সাধারণ যোগাযোগ রক্ষা করা দুরূহ