পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.9 কোন ܘܘ$ এই সব ঘটনা একেবারে অসম্ভব বলে অগ্ৰাহ করা যায় না। এই সেদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মিস্টার উইনস্টন চাটিল তার ঐতিহাসিক বক্তৃতায় এই বিষয়ে অশুভ ইঙ্গিত করেছেন। এবং ইংলণ্ড ? ফ্রান্স থাক বা যাক, ইংলণ্ড কী করবে ? এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে ব্যাখ্যার অতীত সেই কারণ-“জনসাধারণের মনোবিল” । দুৰ্ভাগ্যবশত ব্রিটিশ জনগণের মনোবল বেশ মোক্ষম ধাক্কা খেয়েছে এবং তার প্রকৃষ্ট প্ৰমাণ প্ৰধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বক্তৃত । ব্রিটিশ জনগণকে এ কথা বলার দরকার হচ্ছে কেন, তারা যেন শ্মশানযাত্রীর মত গম্ভীর মুখ করে ঘুরে না বেড়ায় ? দুনিয়াকে এ কথা বলার দরকার হচ্ছে কেন যে, গ্রেট ব্রিটেন যদি নাৎসীঅধুষিত হয় তবু সাম্রাজ্য লড়াই চালিয়ে যাবে এবং যথাকালে সেদিন দেখা দেবে যখন নয়া দুনিয়া সাবেকী দুনিয়াকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসছে ? ইংরেজরা তাদের একরোখা নাছোড়বান্দা স্বভাব ও নিঃশঙ্ক মনোবলের জন্য বিখ্যাত । সম্ভবত তারা আজ তাদের কঠিনতম অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন। দেখা যাক তারা কীভাবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । তরুণ জেনারেল ও সামরিক কুশলীদের উদ্ভাবিত নতুন এক সামরিক টেকনিকের সহায়তায় নাৎসীরা অঘটন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে। মিত্ৰশক্তি বয়োবৃদ্ধ সেকালের যুদ্ধখ্যাত জেনারেলদের উপর ভঁর করেছে। দেখা গেল জেনারেলরা পেরে উঠছেন না । নাৎসী। জেনারেলরা তাদের নতুন টেকনিক কি নিঃশেষ করে ফেলেছে ? মিত্রপক্ষের কি সামরিক কোন গুপ্ত রহস্য আছে অথবা কোন নতুন টেকনিক জানা আছে ? এই দুটি প্রশ্নের উত্তরের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। জার্মান সেনাবাহিনীর রাসায়নিক প্ৰস্তুতির কথা আমরা অনেক শুনে আসছি। সত্যিই কি তারা রাসায়নিক যুদ্ধের নতুন কোন ত্রুটিহীন টেকনিক উদ্ভাবিত করেছে ? যদি তার তা করে থাকে তাহলে আগামী দিনে আমরা তার প্রমাণ পাব । এব: তখন দেখা যাবে ঐ নতুন অবস্থার মধ্যে মানুষের মনোবল কী করে