পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি SSVS যুক্ত ছিল, তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এসব সত্ত্বেও দুটি গুরুতর বাধার সম্মুখীন না হলে বামপক্ষের অগ্ৰগতি অব্যাহত থাকত। প্রথমত, সমস্ত বামপন্থীদের মিলনক্ষেত্র হবে বলে যে কংগ্রেস ডেমক্র্যাটিক পার্টির পত্তন হয়েছিল, তার অকালমৃত্যু। দ্বিতীয়ত, নতুন কংগ্রেস নেতৃত্ব ১৯৩০ সালের এপ্রিলে বিরাট আকারে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে বামপন্থী ভূমিকা গ্ৰহণ করল। DBDBDDBD DBDBLDBB DBDBDDBDB BDBD DDBDLDD DBBBBBD আমি কারারুদ্ধ হই । গান্ধিজীর সঙ্গে মতভেদ হওয়ার দরুন শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস আয়াঙ্গার কংগ্রেস ত্যাগ করে গেলেন । ডাঃ আলম ধীরে ধীরে সাংগঠনিক কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে সরে যেতে লাগলেন। অতঃপর ১৯৩০-এর এপ্রিলে যখন গণ আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়ে গেল, বামপন্থীরা সকলেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ল। যতদিন সেই আন্দোলন চলছিল, নতুন পার্টি গঠনের কথা কেউ ভাবতেই পারেনি । এই অবস্থায় কংগ্রেস ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকে থাকা অসম্ভব হল । ১৯৩০-এর আন্দোলনের পরিণতি হল ১৯৩১ মার্চের গান্ধীআরউইন চুক্তি। এই চুক্তি থেকেই বোঝা গেল কংগ্রেস নেতৃত্ব কখনই যথাৰ্থ বামপন্থী ভূমিকা পালন করবে না। অতএব, এই দিক থেকে বিবেচনা করে দেখলে, বামপন্থী কাৰ্যকলাপ আবার শুরু করার উপযুক্ত সময় এখনই। কিন্তু অন্যদিকে চুক্তির পরে জনসাধারণের মধ্যে গান্ধীর প্রভাব তখন আকাশচুম্বী। তাছাড়া লণ্ডনে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক যখন শেষ হয়ে গেল। তখন প্ৰত্যেকে আশা করেছিল আবার আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হবে। অতএব ১৯৩১- , এর মার্চ থেকে ১৯৩২-এর জানুয়ারী---এই সময়টাকে বামপক্ষ সংগঠিত করার কাজে লাগানো যায়নি। এই সময়ে ব্যক্তিগতভাবে বামপন্থীরা আইন অমান্য আবার যাতে শুরু হয় সেইজন্য জনসাধারণকে প্ৰস্তুত করার কাজে তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। ১৯৩২ সালে যে আন্দোলন হয় আসলে তা ১৯৩০-এর আন্দোলনেরই জের। তা সত্ত্বেও সন্দেহের অবকাশ আছে, এই